২০১১ সালের পর বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলার লক্ষ্যে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামছে ভারত। গত বিশ্বকাপেও সেমি-ফাইনালের মঞ্চে পা ফেলেছিল দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল তাদের। তবে গতবারের চেয়ে এবার আরো পরিণত ভারত।
পুরো টুর্নামেন্টে হার মাত্র একটি। ৯ ম্যাচে ৭ জয় ও এক হার, এক ড্রয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকেই গ্রুপ পর্ব শেষ করেছে কোহলির দল। ব্যাটিং-বোলিংয়ে দুই দলের শক্তি-সামর্থ্য কিংবা সাম্প্রতিক ফর্ম, সব বিচারেই বেশ এগিয়ে ভারত। বছরের শুরুতে নিউ জিল্যান্ডে গিয়ে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে এসেছে ভারত।
সব মিলিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পরিষ্কার ফেবারিট হিসেবেই মাঠে নামছে ভারত। ভারতের টপ অর্ডার দুর্দান্ত, ফর্মে আছেন প্রথম তিন ব্যাটসম্যান। তাদের বোলিং আক্রমণ সম্ভবত টুর্নামেন্টের সেরা। পেস-স্পিন মিলিয়ে বৈচিত্রময় বোলিং আক্রমণে নেই দুর্বলতা।
এদিকে রোহিত শর্মার রানের চাকা চলছেই। এক বিশ্বকাপে পাঁচ সেঞ্চুরির অবিশ্বাস্য কীর্তি গড়ে ফেলেছেন। এক বিশ্বকাপে শচিন টেন্ডুলকারের সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড ভাঙাও রোহিতের জন্য এখন সময়ের ব্যাপার।
শিখর ধাওয়ান ছিটকে যাওয়ার পর রোহিতের সঙ্গে দারুণভাবে মানিয়ে নিয়েছেন লোকেশ রাহুল। তিনে বিরাট কোহলিকে নিয়ে নতুন করে বলার আছে সামান্যই। বিস্ময়করভাবে অবশ্য এই বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি পাননি ভারতীয় অধিনায়ক, তবে টানা পাঁচ ফিফটিতে রান প্রবাহেই ভারতীয় দলের অধিনায়ক।
ম্যাচের আগের দিন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি চাপের কথা শুনেই হেসে উঠলেন, ভারতীয় দলের জন্য সব ম্যাচই চাপের। কখনোই ভাবতে পারিনি কোনো ম্যাচ আমাদের জন্য সহজ। মনে করতে পারি না, শেষ কবে মাঠে নেমে এমন মনে হয়েছে যে, ‘এই ম্যাচে যা-ই হোক, কোনো ব্যাপার না।
ভারতের ম্যাচে সবসময়ই গ্যালারি থাকে ভর্তি, প্রত্যাশা থাকে প্রবল। সব ম্যাচই চাপের। এজন্যই আমরা আগের চেয়ে এই ধরনের পরিস্থিতি বেশি সামলাতে পারি।
ভারতের সম্ভাব্য দল:
রোহিত শর্মা, কেএল রাহুল, বিরাট কোহলি, রিশ্যাভ পন্থ, মহেন্দ্র সিং ধোনি, হার্দিক পান্ডিয়া, দিনেশ কার্তিক, রবীন্দ্র জাদেজা, মোহাম্মদ শামি, জসপ্রিত বুমরাহ ও যুবেন্দ্র চাহাল।