ক্রিকেটের ধারাভাষ্য হোক বা সঞ্চালনা- সব দিকেই পারদর্শী তিনি। কখনও তারকা ক্রিকেটারদের সাক্ষাৎকার নিতে দেখা যাচ্ছে তাকে, আবার কখনও বা মাঠে নেমেই ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রিয় দল নিয়ে উত্তেজনার ছবি পৌঁছে দিচ্ছেন সাধারণের কাছে।
কোহালি, মর্গান এবং স্মিথদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মাঠ কাঁপাচ্ছেন তিনিও। অন্যতম সেরা নারী ধারাভাষ্যকার হিসেবে প্রশংসাও পেয়েছেন প্রচুর। সুন্দরী, গুণী বছর তেত্রিশের এই ব্যক্তিত্বর নাম এলমা স্মিট।
১৯৮৬-এর ৫ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকার বেলভিলে শহরে জন্ম হয় এলমা স্মিটের। দক্ষিণ আফ্রিকার স্টেলেনবচ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক হয়ে তিনি উইটওয়াটারস্র্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর পাশ করেন।
২০০৭ সালে ‘স্টুডিও-১’ নামক এক জনপ্রিয় লাইভ গানের অনুষ্ঠানে সহ-পরিচালক হিসেবে তার হাতেখড়ি। এরপর আর তাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। কখনও সাংবাদিকতা, কখনও সঞ্চালনা আবার কখনও বা রেডিও জকি। নানা ধরনের পেশায় বিভিন্ন সময়ে দেখা গেছে এই সুন্দরী নারীকে।
এক আন্তর্জাতিক টিভি চ্যানেলে রাগবি সঞ্চালক হিসেবেও কাজ করেছেন এলমা। শুধুই কি সঞ্চালনা? বহুমুখী প্রতিভাসম্পন্ন এলমা দক্ষিণ আফ্রিকা রাগবি অ্যাসোসিয়েশন এর মার্কেটিং ম্যানেজার হিসবেও নিযুক্ত হয়েছিলেন।
২০১২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকান চ্যানেল কিকনেট-এ জনপ্রিয় ‘ব্রেকফাস্ট শো’ ‘ ড্যাগব্রিক’ -এ সঞ্চালনার দায়ভার তাঁর উপর বর্তায়। আন্তর্জাতিক খ্যাতি পেতে শুরু করেন তবে থেকেই। চলতি বিশ্বকাপেও রিধিমা পাঠক-এর পাশাপাশি নারী ধারাভাষ্যকর হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি।
ঘুরতে ভালোবাসেন এলমা। সাঁতারেও রয়েছে বিশেষ শখ। সাংবাদিক এবং গলফ ধারাভাষ্যকার রিচার্ড মাসপেরোকে বিয়ে করেছেন তিনি। ২০১১ সালে রাগবি বিশ্বকাপেও তিনি সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন।