ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে নিজের ছেলেকে নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক গৃহবধুর বিরুদ্ধে। এঘটনা নিয়ৈ মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাহরাইন প্রবাসী ইউসুফ প্রামাণিক (৩৫)।
মঙ্গলবার দুপুরে কারিকর ডাঙ্গী গ্রামের ইউসুফ প্রামাণিক উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, ছেলেকে ফিরে পেতে আপনাদের সহযোগিতা চাই। গত ২৫ দিন ছেলেকে দেখি না। ছেলে কোথায় আছে জানি না। আমার ছেলেকে এনে দেন।
প্রবাসী ইউসুফ প্রামাণিক বলেন, বাহরাইন দেশে পাঁচ বছর চাকরীকালীন সময়ে যা রোজগার করেছি সব টাকা স্ত্রীর নামের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছি। এমনকি তার জন্য আলাদা বাড়ি করে দিয়েছি। সে যা বলেছে আমি তাই করেছি। কিন্তু সে আমার সঙ্গে কি করলো?
তিনি বলেন, যে স্ত্রী তার স্বামীকে হত্যার চেষ্টা করে সেই স্ত্রী আমার দরকার নেই। ওর মতো স্ত্রীর সঙ্গে আমি সংসার করতে চাই না। আমি আমার শিশু পুত্রকে ফিরে পেতে চাই। এ ব্যাপারে চরভদ্রাসন থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চরভদ্রাসন থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শাহীনুর রহমান জানান, নিখোঁজ পরকীয়া প্রেমিক যুগলকে গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তারা এলাকায় নেই, সম্ভবত ঢাকায় অবস্থান করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইউসুফ প্রামাণিক বাহরাইনে চাকরি করার সুযোগে তার স্ত্রী চম্পা খাতুন (৩২) আপন খালাতো ভাই শেখ রুবেলের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় দুই বছর যাবৎ তারা মেলামেশা করে আসছে। প্রায় আড়াই মাস আগে স্বামী ইউসুফ প্রামাণিক ছুটিতে বাড়ি ফিরে আসেন। বাড়িতে এসে স্ত্রীর পরকীয়ার বিষয়টি জানতে পারেন এবং স্ত্রীকে কড়া শাসনের মধ্যে রাখেন।
গত ১৫ জুন দিবাগত গভীর রাতে স্ত্রী চম্পা খাতুন হঠাৎ বিছানা থেকে উঠে ঘরের দরজা খুলে দেয়। এ সময় পরকীয়া প্রেমিক শেখ রুবেল হাতে ধারালো ছুরি নিয়ে ঘরে ঢুকে ইউসুফের গলা বরাবর কুপিয়ে জখম করে। পুনরায় আঘাত করতে গেলে উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় ইউসুফের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে পরকীয়া প্রেমিক রুবেল দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে আহত ইউসুফকে প্রথমে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকার পর এখন তিনি কিছুটা সুস্থ।
এদিকে ইউসুফ যখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তখন স্ত্রী চম্পা খাতুন সাত বছর বয়সী শিশুপুত্র ওমর ফারুককে সঙ্গে নিয়ে পরকীয়া প্রেমিক রুবেলের হাত ধরে উধাও হয়ে যায়। ২৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ইউসুফ বাড়িতে এসে স্ত্রী চম্পা খাতুন ও শিশু পুত্র ওমর ফারুককে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।