কুমিল্লার দেবীদ্বারে ৪ জনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। পরে স্থানীয়দের পিটুনিতে অভিযুক্ত ঘাতকও নিহত হয়েছেন। বুধবার সকালে দেবীদ্বার উপজেলার ধামতি ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দেবীদ্বার থানার ওসি জহিরুল আনোয়ার। তিনি জানান, অভিযুক্ত ঘাতকের নাম মোখলেসুর রহমান। বয়স ৪০। পেশায় রিকশাচালক। সে মানসিকভাকে কিছুটা ভারসাম্যহীন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। ভোরে বাড়িতে ঢুকে ৪ জনকে কুপিয়ে হত্যা করে সে। পরে স্থানীয়রা তাকে আটক করে। এ সময় গণপিটুনিতে তার মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন- নাজমা বেগম (৪০), মাজেদা বেগম (৬৫), আনু বেগম (৪৫) ও আবু হানিফ (১০)। এ সময় ঘাতকের দায়ের কোপে নুরুল ইসলাম নামে একজন গুরুতর জখম হয়েছেন।
জানা গেছে, সকালে মোখলেসুর বাড়িতে এসে ঘর থেকে দা নিয়ে প্রতিবেশি নুরুল ইসলামের বাসায় ঢোকে। ঘরে থাকায় নুরুল ইসলামের স্ত্রী নাজমা বেগমকে আচমকা কোপাতে শুরু করে। নুরুল ইসলাম স্ত্রীকে বাঁচাতে এলে তাকেও কুপিয়ে জখম করে মোখলেস। তাদের আর্তচিৎকারের নুরুল ইসলামের মা মাজেদা বেগম এগিয়ে এলে তাকেও এলোপাথারি কুপিয়ে জখম করে।
এরপর মোখলেস রক্তমাখা দা নিয়ে যায় আরেক প্রতিবেশী শাহ আলমের বাড়িতে। সেখানে শাহ আলমের ছেলে স্কুলছাত্র আবু হানিফকে (১০) জবাই করে হত্যা করে। ছেলেকে বাঁচাতে এলে শাহ আলমের স্ত্রী আনু বেগমকেও জবাই করে মোখলেস।
খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন মোখলেসকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। এতে তার মৃত্যু হয়।
প্রতিবেশিরা নুরুল ইসলাম, তার স্ত্রী নাজমা ও মা মাজেদা বেগমকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার চিকিৎসকরা নাজমা ও মাজেদা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর জখম নুরুল ইসলাম বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসাধীন।
স্থানীয়দের খবরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ ৩ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। মাজেদা বেগম মারা গেছেন কিনা সে ব্যাপারে পুলিশ এখনও নিশ্চিত নয়। তবে স্থানীয়রা জানান, মাজেদা বেগমের লাশও বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে।