রান আউটে শুরু। রান আউটেই শেষ? মাঝে এক দশকেরও বেশি ধোনি। ক্যাবিনেটে আইসিসির সব ট্রফি। ম্যাঞ্চেস্টারের রান আউট কোথাও যেন মিলিয়ে দিল পনেরো বছর আগের সেই ২৩ বছরের রাঁচির যুবককে। ২০০৪ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ঢাকায় কেরিয়ারের প্রথম ম্যাচ। মোহম্মদ কাইফের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়েছিলেন অনভিজ্ঞ মহেন্দ্র সিং ধোনি। তাও আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রথম বলে।
ম্যাঞ্চেস্টারে রান আউট। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে জাদেজাকে সঙ্গে নিয়ে একেবারে ফিনিশিং লাইনের কাছাকাছি পৌঁছে যান মি. ফিনিশার। কিন্তু স্কোয়ার লেগ থেকে মার্টিন গাপ্টিলের অবিশ্বাস্য থ্রো। ক্রিজে ঢুকতে মরিয়া ধোনি তখন ইঞ্চি খানেক বাইরে। আর সেখানেই স্বপ্ন শেষ হলো টিম ইন্ডিয়ার।
বুধবার পাঁচ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ২৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারত। সেমিফাইনালের মতো ম্যাচে প্রথমে ৩ উইকেট হারিয়ে ভারত যখন বিপদে, তখনও ধোনি কেন ব্যাটিংয়ে নেই? এমন প্রশ্ন উঠেছিল কমেন্ট্রি বক্স থেকেও। তবে খেলায় শুভ সমাপ্তি টানতে রিজার্ভ ডেতে সম্পূর্ণ দায়িত্বও এসে পড়ে ধোনির কাঁধে। উইকেটের একপ্রান্ত সামলে নিচ্ছিলেন এই সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক। যদিও ম্যাচ ফিনিশ করতে পারেননি। গাপটিলের অসাধারণ থ্রোতে রান আউট হয়ে টেল-এন্ডারদের হাতে ম্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ৭২ বলে ৫০ রান করেন তিনি। তবে এই অর্ধশতক যে মোটেই সুখকর ছিল না ধোনির জন্য তা বেশ বোঝা যাচ্ছিল সাজঘরে যখন ফিরছিলেন তিনি।
কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়েন ধোনি। আর ধোনির সেই কান্না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে রীতিমতো ভাইরাল। এ নিয়ে চলছে আলোচনার ঝড়।
ধোনি যখন কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়ছিলেন, সেই ছবি টিভি স্ক্রিনে ফুটে ওঠে। আর তা দেখে গ্যালারির ভারতীয় সমর্থকরাও আপ্লুত হয়ে ওঠেন। অনেকেই কান্নারত ধোনির আবেগের সঙ্গে যুক্ত হন। ছোট্ট শিশুও বাদ যায়নি তখন। ধোনির আউটের পর ম্যাচ ছিটকে যাওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারে ওই খুদে সমর্থকও। অভিভাবককে জড়িয়ে ধরে সেও কান্নায় ভেঙে পড়েন। স্ক্রিনে তা দেখে গোটা বিশ্ব। সূত্র: ইত্তেফাক।