২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষা এমসিকিউ এর বদলে লিখিত পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রশাসন। এছাড়া ভর্তি পরীক্ষায় রেজাল্টের মান দেখে শিক্ষার্থীদেরকে বাছাই এবং উত্তীর্ণদেরকে পরীক্ষার প্রবেশপত্র উত্তোলন করতে পারবে বলে জানানো হয়। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষার এমন কার্যক্রমে পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়েছে ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান গত ৬ জুলাই এমসিকিউ পদ্ধতিতে সত্যিকার মেধা যাচাই হয় না যুক্তি দেখিয়ে এমসিকিউ বাতিল করে লিখিত পরীক্ষা নেয়ার ঘোষনা দেন। এছাড়া ভর্তি পরীক্ষায় দুইটি পর্যায়ে আবেদন করতে হবে শিক্ষার্থীদের। প্রথম পর্যায়ে রেজাল্টের মান দেখে শিক্ষার্থীদেরকে বাছাই করা হবে। পরে বাছাইয়ে উত্তীর্ণদেরকে পরীক্ষার প্রবেশপত্র উত্তোলনের ব্যাপারে জা হবে। নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসতে পারবেন। এসময় পরীক্ষার নির্দিষ্ট ফি কাটা হবে বলে জানান তিনি। এছাড়া সেখানে দুই ঘন্টায় ১০০ মার্কের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এবং খাতা দেখা হবে।
তবে শিক্ষার্থীদের অভিযাগ, বর্তমানে দেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ২য় বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ বাতিল করেছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরো কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধুমাত্র দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগ রয়েছে। যে কারনে যেসব শিক্ষার্থী দ্বিতীয়বার ভর্তি প্রতিযোগীতায় অংশ নিতে ইচ্ছুক তাদেরকে আবার লিখিত পরীক্ষার জন্য নতুন করে প্রস্তুতি নিতে হবে।
ঝিনাইদহ সদরের পলাশ কুমার নামে এক অভিভাবক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার কি ধরনের প্রশ্ন হবে, সিলেবাস কতটুকু, কতজন পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
রংপুরের বদরগঞ্জ থানার রিপন খান নামে এক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী বলেন, ‘গতবারের থেকে এবার রেজাল্ট তুলনামূলক খারাপ হয়েছে। এখন আবার যদি রেজাল্টের ভিত্তিতে প্রাথমিক বাছাই করা হয় তাহলে ২য় বার পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ বাতিল করা উচিত বলে মত প্রকাশ করেন।’
রাজশাহীর বাঘার ভর্তিচ্ছু এহিয়া মাসুদ ইমন অভিযোগ করে বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও ৬ মাস আগে লিখিত পরীক্ষার হওয়ার কথা জানানো হয়েছে। কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র কয়েকদিন আগে জানানো হয়েছে। ফলে পরীক্ষা নিয়ে এখন আমাদের নতুন করে ভাবতে হচ্ছে।’
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার এএইসএম আসলাম হোসেন বলেন, ভর্তি শিক্ষার্থীদের ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। এটি এখনো চূড়ান্ত নয়। সামনে একটি মিটিং আছে। সেখানে এটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
নওগা ধামুরহাটের ভর্তিচ্ছু ঝর্ণা হাসদা বলেন, ‘মেয়ে হওয়ায় আমাকে বাড়ি থেকে দূরে পরীক্ষা দিতে যেতে দিতে চায়না পরিবার। তাই রাবিতে ভর্তি হওয়াই আমার প্রথম টার্গেট। কিন্তু এভাবে হঠাৎ লিখিত পরীক্ষার ঘোষনা আসায় বিভ্রান্তিতে পড়েছি।’