রাজস্ব পরিশোধের পাশাপাশি শিগগিরই বাংলাদেশে অফিস চালু করতে রাজি হয়েছে ফেসবুক। এ তথ্য জানিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে নতুন ভ্যাট আইন কার্যকরের পর ফেসবুক, গুগল, ইউটিউবের কাছ থেকে রাজস্ব আদায়ে মাঠে নেমেছে সরকার। এজন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাগাদা দিতে বিটিআরসিকে চিঠি দিয়েছে এনবিআর। বেসিসের হিসাব বলছে, এটা করতে পারলে ডিজিটাল মাধ্যমের বিজ্ঞাপন বাবদ প্রায় ৩শ' কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করা সম্ভব।
স্বল্প খরচে, বড় পরিসরে বিজ্ঞাপন দিতে সার্চ ইঞ্জিন গুগল, ফেসবুক, ই্উটিউব'সহ ডিজিটাল মাধ্যমের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান, টেলিকম অপারেটর, বড় বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো প্রচলিত গণমাধ্যমের পাশাপাশি এখন ঝুঁকছে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের দিকে।
বেসিসের তথ্য মতে, ডিজিটাল মার্কেটিং কোম্পানি বাংলাদেশ থেকে বিজ্ঞাপন বাবদ প্রতিবছর প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে। এসব অর্থের বেশিরভাগই পরিশোধ হয় নন ব্যাংকিং চ্যানেলে। এতে রাজস্ব বঞ্চিত হয় সরকার। অথচ দেশীয় গণমাধ্যমগুলোকে বিজ্ঞাপন সম্প্রচারের আয়ের বিপরীতে ভ্যাট দিতে হয়। এ অবস্থায় নতুন ভ্যাট আইন অনুযায়ী ফেসবুক, গুগল, ইউটিউবকে বাংলাদেশি বিজ্ঞাপন প্রচারের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশে নিজস্ব অফিস চালু অথবা মুসক এজেন্ট নিয়োগ দিতে হবে।
এনবিআরের অতিরিক্ত কমিশনার মুহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, এজেন্ট নিয়োগ না করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এই শাস্তি হতে পারে তাদের পেনাল্টি দেয়া অথবা বাংলাদেশে ব্যবসা বন্ধ করে দেয়া।
আইন মেনে ভ্যাট পরিশোধে কোন আপত্তি নেই বলে জানালো বড় বড় বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। রবির হেড অফ রেগুলেটরি সাহদ আলম বলেন, শুধুমাত্র ফেইসবুক বা গুগলের ক্ষেত্রে না বড় বড় কোম্পানিগুলো যারা বাংলাদেশে ব্যবসা আছে কিন্তু অফিস নেই তাদের সঙ্গে লেনদেন সহজ হবে।
আশার কথা হলো, এরই মধ্যে সরকারের পদক্ষেপে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে ফেসবুক, গুগল ও ইউটিউব।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার জানান, তার সঙ্গে ফেইসবুকের সিইও'র কথা হয়েছে তিনি বলেছেন বাংলাদেশের আইন মানতে তারা চায়। সেক্ষেত্রে ভ্যাট আরোপ হলে ভ্যাট দিতে হবে।
পর্যায়ক্রমে অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমগুলোকে বাংলাদেশে ব্যবসা অব্যাহত রাখতে কার্যালয় স্থাপনে জোর দেয়া হবে বলে জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী।