রোববার রাতে ক্রিকেটবিশ্ব দেখল অনন্য এক ম্যাচ। শেষ মুহূর্তেও হার মানছে না কোনো দলই। ক্রিকেটে টাই হয়ে যাওয়ার ঘটনা সচরাচর দেখা মেলে না। তাই সুপার ওভার মানেই চরম রোমাঞ্চকর এক অধ্যায়। আর সে ঘটনা যদি বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে হয়ে থাকে তা ইতিহাসকেও হার মানায়।
আর সেই ইতিহাসকে হার মানানো ম্যাচে বেশি বাউন্ডারি হাঁকানোর বিবেচনায় মুখে হাসি ফোটে ইয়ন মরগ্যানদের। বঞ্চিত হন কেন উইলিয়ামসনরা।
আইসিসির এমন নিয়ম মানতে পারছেন না অনেক ক্রিকেটপ্রেমী। ম্যাচশেষের পর থেকেই এ নিয়মের সমালোচনায় মেতে ওঠেন নেটিজেনরা। তার পরেও নিয়ম তো নিয়মই ।
উল্লেখ্য, সুপার ওভার টাই হলে আইসিসির চূড়ান্ত নীতিমালায় যা লেখা রয়েছে-
১. মূল ম্যাচে যে দল সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারি হাঁকাবে, তাদের বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
২. যদি এ ক্ষেত্রেও দুদলের পারফরম্যান্স সমান হয় তখন যে দল শেষ বলে সবচেয়ে বেশি রান নিয়েছে তারা জয়ী হবে।
৩. যদি ওপরে উল্লিখিত দুটি বিষয়েও দুদলের পারফরমেন্স একই ধরণের হয় তখন মূল ম্যাচে যে দল সবচেয়ে কম নো বল দিয়েছে তারা বিজয়ী হবে।
আর ১নং নিয়মকে অনুসরণ করে রোববার রাতে শেষ হাসি হাসে ইংল্যান্ডের। সুপার ওভারে দুদলই ১৫ করে রান করলে বিবেচনায় চলে আসে ম্যাচে কোন দল কয়টি বাউন্ডারি হাঁকাল।
সেই হিসেবে নিউজিল্যান্ড চার হাঁকায় ১৪টি আর ছক্কা ২টি। অন্যদিকে ইংল্যান্ড চার হাঁকায় ২২টি আর ছক্কা হাঁকায় ২টি।
নিউজিল্যান্ডের তুলনায় ৮টি চার বেশি হাঁকানোয় নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপা নিজেদের করে নেয় বিশ্বকাপের স্বাগতিক ইংল্যান্ড।