২৩ বছর পর ক্রিকেট বিশ্ব খুঁজে পেয়েছে নতুন এক চ্যাম্পিয়ন। ক্রিকেটের জন্মভূমি ইংল্যান্ডের হাতেই উঠেছে এবারের ট্রফি। রোমঞ্চকর এক ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপা জয়ের আনন্দে ইয়ন মরগানের দল। বিশ্বকাপ শেষেই আইসিসি ঘোষণা করেছে টুর্নামেন্টের সেরা একাদশ। যেখানে অনুমিত ভাবেই জায়গা পেয়েছেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই দারুণ ক্রিকেটে খেলেছেন বেশ কয়েকজন ক্রিকেটোর। সেখান থেকেই বেছে নেওয়া হয়েছে সেরা ১১জনকে। ইংল্যান্ডের ৪ জন, নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া-ভারতের দু’জন করে এবং বাংলাদেশ থেকে ১জন রয়েছেন একাদশে। একাদশের অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করা হয় কিউই দলনেতা কেন উইলিয়ামসনকে।চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড দলের রয়েছেন জেসন রয়, বেন স্টোকস, জো রুট ও পেসার জোফরা আর্চার। রানার্স আপ নিউজিল্যান্ড থেকে রয়েছেন উইলিয়ামসন ও লকি ফার্গুসন। অস্ট্রেলিয়ার দল থেকে জায়গা পেয়েছেন উইকেররক্ষক অ্যালেক্স ক্যারি ও পেসার মিচেল স্টার্ক। বাংলাদেশ থেকে সাকিব আল হাসান, ভারত থেকে রোহিত শর্মা ও যশপ্রীত বুমরাহ।
সাকিব এই আসরে ২টি সেঞ্চুরি ও ৫টি হাফসেঞ্চুরিসহ মোট ৬০৬ রান করেছেন। আর বোলিংয়ে ১১টি উইকেট নিয়েছেন।
আইসিসি’র ওযেবসাইটে সাকিব সম্পর্কে বলা হয়, সেরা একাদশ নির্বাচনে সাকিব অটোমেটিক চয়েস। বাংলাদেশের তিন নম্বর পজিশনে তার পারফরম্যান্স ছিল দুর্দান্ত। প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপের এক আসরে ৫০০ রান ও ১০ উইকেট নেওয়া ক্রিকেটার। তাই তাকে একাদশে রাখা নিয়ে কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি আইসিসিকে। তবে ব্যাটিং অর্ডারে বিশ্বকাপ একাদেশে সাকিবকে পাঁচ নম্বরে রাখা হয়েছে।
আইসিসি সেরা একাদশ: রোহিত শর্মা (ভারত), জেসন রয় (ইংল্যান্ড), কেন উইলিয়ামসন (নিউজিল্যান্ড), জো রুট (ইংল্যান্ড), সাকিব অাল হাসান (বাংলাদেশ), বেন স্টোকস (ইংল্যান্ড), অ্যালেক্স ক্যারি (অস্ট্রেলিয়া), মিচেল স্টার্ক (অস্ট্রেলিয়া), জোফরা আর্চার (ইংল্যান্ড), লোকি ফার্গুসন (নিউজিল্যান্ড), যশপ্রীত বুমরাহ (ভারত) ও দ্বাদশ ক্রিকেটার ট্রেন্ট বোল্ট (নিউজিল্যান্ড)।