ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটারদের ধ্যানজ্ঞানই হয় ক্রিকেট। এ নিয়েই সময় কাটে তাদের, সব ব্যস্ততা থাকে এ খেলা ঘিরেই। সেভাবে সাধনা না করলে যে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছানো যায় না। ফলে পড়াশোনার সময় বের করতে পারেন না তারা। বলা বাহুল্য, দুরূহ কঠিনই বটে।
তবে এর মাঝেও ব্যতিক্রম থাকে। এ যেমন ক্রিকেটবিশ্বে হাতেগোনা কয়েকজন আলোচিত ক্রিকেটার আছেন, যারা ২২ গজেও দুর্দান্ত, পড়াশোনাতেও তুখোড়। তেমনই একজন হলেন বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম।
তিনি জাতীয় দলের নির্ভরতার প্রতীক। গায়ে সেঁটে আছে মিস্টার ডিপেন্ডেবলের তকমা। সময়ের অন্যতম সেরা এ ব্যাটসম্যান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর পাস করেছেন। দুটিতেই প্রথম শ্রেণি পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। এর আগে জিপিএ-৫ পেয়ে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন।
এবার ২৯ বছর বয়সী ক্রিকেটার করছেন পিএইচডি। ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনের পথে হাঁটছেন তিনি। টাইগারদের সর্বোচ্চ শিক্ষিত এ ক্রিকেটারের পিএইচডির বিষয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ক্রিকেট।
বিশ্বকাপ শেষে কদিন আগে দেশে ফিরেছেন মুশফিক। এক সপ্তাহ না যেতেই নেমে পড়েছেন অনুশীলনে। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ইনডোরে করছেন নিবিড় অনুশীলন। এর মাঝেই সময় বের করে যাচ্ছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাড়নাও আছে শ্রীলংকা সফরের আগেই বসতে হবে পরীক্ষায়। তাই ক্রিকেটের পাশাপাশি মনোযোগ দিয়েছেন এমফিলের পড়াশোনায়।
মাঠের খেলা, সংসার, একমাত্র ছেলে শাহরোজ মায়ানের সঙ্গে খেলাধুলা, তদুপরি লেখাপড়া- সব মিলিয়ে সবকিছু সামলানো কঠিন। তবে পিছপা নন মুশি। এর মাঝেই আত্মতৃপ্তি খুঁজছেন তিনি। চাঙ্গা রাখছেন মনোবল। হয়তো সে কারণেই চার বছর বিরতির পর আবারও পড়াশোনায় ঝুঁকতে পেরেছেন জাতীয় দলের দুঃসময়ের কাণ্ডারি। ক্রিকেটের পাশাপাশি আপাতত তার এখন ধ্যানজ্ঞান দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ক্রিকেট নিয়ে গবেষণা।