ঢাকা রুটে সিরাজগঞ্জের বাস চলাচলে বাধা ও মহাখালী বাস টার্মিনাল মালিক সমিতির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট পালন করছে সিরাজগঞ্জ পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
১৮ জুলাই আজ বৃহম্পতিবার সিরাজগঞ্জ জেলায় সকালে এ ধর্মঘট শুরু হয়।জেলার সব ধরনের পরিবহন ধর্মঘটের আওতাভুক্ত বলে জানিয়েছেন পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
মিনিবাস ও কোচ মালিক সমিতির সভাপতি জিন্নাহ আলমাজি জানান, সিরাজগঞ্জ জেলা বাস, মহাখালী বাস টার্মিনাল মালিক সমিতির সঙ্গে সৃষ্ট দ্বন্দ্বের নিরসনের জন্য আমরা তিন দিনের সময় দিয়েছিলাম। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো মানা হয়নি।
তিনি বলেন, ঢাকার বাসস্ট্যান্ডগুলোতে সিরাজগঞ্জের সব কাউন্টার বন্ধ করা এবং চন্দ্রা মোড় থেকে বাস ফিরিয়ে দেয়া ও শ্রমিকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হয়। এ ছাড়া মহাখালী মালিক সমিতির বিভিন্ন অসাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট করা হয়। ধর্মঘট চলাকালে আমরা বাস, ট্রাক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা রাস্তায় বের করবো না। দাবি মানা না হলে আরও কঠোর আন্দোলনে যাবে সিরাজগঞ্জ মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
সিরাজগঞ্জ-ঢাকা রুটে সিরাজগঞ্জ জেলা বাস-মিনিবাস ও কোচ মালিক সমিতির সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই সেবা লাইনের বেশ কয়েকটি বাস ঢুকিয়ে দেয় মহাখালী বাস টার্মিনাল মালিক সমিতি। এনিয়ে দুই সমিতির মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত ১৩ জুলাই থেকে সিরাজগঞ্জ-ঢাকা রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এর আগে গত সোমবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ বাস মিনিবাস ও কোচ মালিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সিরাজগঞ্জ থেকে ঢাকায় বাস চলাচল করতে না দিলে আগামী ১৮ জুলাই থেকে সিরাজগঞ্জে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট পালন করা হবে।
ওই সংবাদ সম্মেলনে সিরাজগঞ্জ বাস মিনিবাস ও কোচ মালিক সমিতির সভাপতি জিন্নাহ আলমাজি বলেছিলেন, ঢাকার মহাখালী ও গাবতলীর বাস মালিক সমিতির নেতারা সিরাজগঞ্জে একটি কাউন্টার খোলার দাবি করছে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে একাধিকবার আলোচনা হয়। আলোচনায় সমাধান না হওয়ায় সিরাজগঞ্জের বাসগুলো ঢাকায় প্রবেশে বাধা দেন ঢাকার মালিক সমিতি নেতারা। শেষপর্যন্ত ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছেন পরিবহন নেতৃবৃন্দ।