এক সময় ক্রিকেট বিশ্ব দাপিয়ে বেড়ানো জিম্বাবুয়ের এখন বেহাল অবস্থা। সে অবস্থা এতটাই খারাপ পর্যায়ে পৌঁছেছে, আইসিসি বিতাড়িতই করে দিল তাদের।
গেল মাসে জিম্বাবুয়ে সরকারের স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন কমিশন জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডকে বাতিল করে দেয়। পরবর্তীতে তারা একটি অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি গঠন করে। যা ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার পরিপন্থি। আর এসব কারণেই আইসিসির নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ল জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট বোর্ড।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি) থেকে প্রতিবছর ৯ মিলিয়ন ডলার পেলেও দুর্নীতির কারণে আলোর মুখ দেখেনি জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট। সদ্যসমাপ্ত ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলতে না পারাসহ নানাবিদ কারণে ক্রিকেট বোর্ডকেই বিলুপ্ত করে দিয়েছিল দেশটির সরকার। গঠন করেছিল অন্তর্বর্তীকালীন এক কাঠামো।
যা একদমই পছন্দ করেনি আইসিসি। এ সপ্তাহে লন্ডনে কয়েক দফায় সভা করে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে আইসিসি। যে কারণে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আইসিসি আয়োজিত কোনো ইভেন্টে খেলতে পারবে না জিম্বাবুয়ে।
যার ফলে আগামী মাসে নারী দলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব এবং অক্টোবরে পুরুষ দলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব খেলায়ও অংশ নিতে পারবে না তারা। শুধু তাই নয়, এ সময়ের আইসিসির কাছ থেকে কোনোরকম আর্থিক অনুদানও পাবে না দেশটি।
মূলত আইসিসির গঠনতন্ত্রের ২.৪ (গ) এবং (ঘ) এর আইন অমান্য করার কারণেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তার আগে কথা বলা হয়েছে জিম্বাবুয়ের অন্তর্বর্তীকালীন ক্রিকেট বোর্ড ও সরকারের সঙ্গে। ক্রিকেট বোর্ডে সরাসরি সরকার হস্তক্ষেপ একদমই মেনে নেয়নি আইসিসি।
জিম্বাবুয়েকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানিয়ে আইসিসি চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর বলেন, ‘আমরা কোনো সদস্য দেশকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে অনেকবার ভাবি। কিন্তু খেলাধুলাকে রাজনৈতিক সংস্পর্শ থেকে দূরে রাখতেই হবে। জিম্বাবুয়েতে যা হয়েছে তা আমাদের গঠনতন্ত্রের বিরোধী এবং আমরা এটিকে এমনিতেই ছেড়ে দিতে পারি না।’