মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহা বলেছেন, আমার পরিবার হুমকিতে আছে।
তিনি বলেন, আমার বাসার সামনে মিছিল করা হয়েছে। হুমকি দেয়া হয়েছে। গতকাল (শনিবার) আমার বাসার তালা ভাঙতে চেষ্টা করা হয়েছে।
রোববার প্রিয়া সাহা পরিচালিত প্রতিষ্ঠান ‘শার’ এর ইউটিউব চ্যানেলে ৩৫ মিনিটের এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেছেন।
ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, আমি ভাল নেই। আপনারা দেশে আছেন, আপনারা দেখতে পাচ্ছেন পরিস্থিতি কোথায় যাচ্ছে। আমার পরিবার ভীষণ সমস্যায় আছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো আমার পরিবারের ছবি পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। কথা বলেছি আমি, তারা আমার ছবি ছাপাতে পারতো। এর মাধ্যমে পরিবারের সবার জীবনকে বিপন্ন করা হয়েছে। আমার পরিবারের কেউ আমার কাজের সাথে কোনোভাবেই যুক্ত নয়।
এদিকে ১৬ জুলাই ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার ২৭ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। সেখানে ১৬ দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়াও মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান।
তিনি ট্রাম্পকে বলেন, আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। দেশটিতে ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান নিখোঁজ রয়েছেন। অনুগ্রহ করে আমাদের লোকজনকে সহায়তা করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই। প্রিয়া বলেন, এখনো সেখানে ১ কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু রয়েছেন। আমরা বাড়িঘর খুইয়েছি। তারা আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছেন, ভূমি দখল করে নিয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো বিচার পাইনি।
তার এমন বক্তব্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াসহ সারাদেশে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। ওই সম্মেলনে অংশ নেয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, প্রিয়া সাহা যে অভিযোগ করেছেন, তা একেবারেই মিথ্যা। বিশেষ মতলবে এমন উদ্ভট কথা বলেছেন তিনি।
তবে এ বিষয়ে প্রিয়ার কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি রানা দাশগুপ্ত বলেছেন, প্রিয়া হোয়াইট হাউজে ট্রাম্পের কাছে যে অভিযোগ করেছেন, তা একান্তই তার নিজস্ব বক্তব্য, সংগঠনের নয়।