এ যেন রোমাঞ্চকর প্রেমের সিনেমাকেও হার মানায়। নিজের হাত কেটে রক্ত দিয়ে প্রেমিকার সিথিতে সিঁদুর পরালেন প্রেমিক। দুজনে মিলে সেলফি তুললেন। এরপরই প্রেমিকাকে শ্বাসরোধ করে খুন করলেন প্রেমিক। অবশেষে নিজেও ঝুলে পড়লেন ঘরের সিলিং ফ্যানে!
শুক্রবার এই অভিনব হত্যা ও আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের কল্যাণ এলাকায়।
মৃত প্রেমিকের নাম অরুণ গুপ্ত, প্রেমিকা প্রতিভা প্রসাদ। উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ের বাসিন্দা অরুণের বয়স একুশ বছর। বছরখানেক আগে মুম্বাইয়ের ঘাটকোপারের বাসিন্দা প্রতিভার সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ তার।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার আগের দিন অরুণ বারাণসী যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। কিন্তু সেখানে না গিয়ে সোজা চলে আসেন মুম্বাইয়ে। বাড়ি থেকে ডেকে নেন প্রেমিকাকে। তারপর দু’জনে মিলে মহারাষ্ট্রের কল্যাণ এলাকায় যান। সেখানে একটা গেস্ট হাউসে রুম বুক করেন অরুণ। ওই রুমে বসেই প্রেমিকার সিথিতে নিজের হাত কেটে রক্ত দিয়ে সিঁদুর পরান। এরপর প্রেমিকাকে গলাটিপে হত্যা করার পর নিজেও দড়িতে ঝুলে পড়েন।
গেস্ট হাউসের কর্মীরা পুলিশকে জানান, ওই দিন দুপুর দেড়টা নাগাদ চেক ইন করেন প্রেমিক যুগল। তারপর থেকে তাদের আর ঘরের বাইরে দেখা যায়নি। সন্ধ্যাবেলায় একবার শুধু পানি চেয়ে পাঠান অরুণ।
শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ গেস্ট হাউসের এক কর্মী ডিনারের জন্য অরুণদের ডাকতে যান। অনেক ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে গেস্ট হাউসের কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। পরে কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দেখে বিছানার উপর পড়ে আছে প্রতিভার নিষ্প্রাণ দেহ। তার পাশেই সিলিং ফ্যানে ঝুলছে অরুণ। পুলিশ ওই ঘর থেকে একটা রক্তমাখা ব্লেড উদ্ধার করেছে।
তবে অরুণ কী কারণে প্রেমিকাকে খুন করলেন এবং নিজে আত্মহত্যা করলেন তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। তবে পুলিশের অনুমান, আজমগড়ে নিজের বাড়িতে প্রতিভাকে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন অরুণ। কিন্তু প্রতিভা তাতে রাজি না হওয়ায় তিনি তাকে গলাটিপে হত্যা করেন। সূত্র: আনন্দবাজার