এরশাদের ইমেজকে কাজে লাগাতে না পারলে জাতীয় পার্টির অবস্থা হবে শেয়ার বাজারের মতো। শেয়ার বাজারে যেমন দরপতন হয় ঠিক তেমনটাই হবে জাপার ক্ষেত্রে। এমন মন্তব্য এরশাদের সাবেক পত্নি বিদিশা সিদ্দিকের।
বিদিশা মনে করেন, এরশাদ জাতীয় পার্টিকে যেভাবে দক্ষতার সাথে পরিচালনা করেছেন এবং নেতা-কর্মীদের যে ভালবাসা দিয়েছেন বর্তমানে জাতীয় পার্টিকে এমন কেউ নেই এরশাদের সমকক্ষ। তাঁর মতে, জাপায় এখন লেজে-গোবরে অবস্থা। প্রকাশ্যে কেউ বলুক আর না বলুক জাপা কিন্তু দ্বিধা-বিভক্ত।
বিদিশার কণ্ঠে অভিমানের সুর। তিনি বলেন, এরশাদের মৃত্যুর পর কতজন নেতা এরশাদের খোঁজ-খবর নিয়েছেন? কতজন নেতা জানাযায় গিয়েছেন? কতজন নেতা পরিবারের খোঁজ-খবর নিয়েছেন এগুলো কি কেউ খতিয়ে দেখেছে?
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, পার্টিতে যদি দ্বিধা-বিভক্তিই না থাকে তাহলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের সংবাদ ব্রিফিংকালে জুনিয়র ২/৪ জন প্রেসিডিয়াম সদস্য উপস্থিত থাকে। তাহলে সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্যরা কোথায় গেল? তাহলে কি তারা জাপা ছেড়ে দিয়েছে? এরশাদের হাতে গড়া জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধ থাকলে দলের নেতা-কর্মীরা এসব প্রশ্ন আজ তুলতো না।
আমি জাতীয় পার্টির কেউ না, জাপা নিয়ে কথা বলার অধিকারও আমার নেই। আমার সন্তান এরিক প্রশ্নে জাপার তৃণমূল নেতা-কর্মীরা আমার সাথে যোগাযোগ করে, তারা সার্বক্ষণিক আমার এবং এরিকের খোঁজ-খবর নেয়। আর এই খোঁজ-খবর নেয়াটা তো কোন অপরাধ নয়?
বিদিশা বলেন, এরশাদ আমার স্বামী ছিলেন এটা যেমন দিবালোকের মত সত্য ঠিক তেমনটাই সত্য এরিক আমার সন্তান। সন্তানের দেখভালের দায়িত্ব তো মায়ের উপরই বর্তায়। কিন্তু আজ কি দেখছি একটি মহল এরিককে আমার কাছ থেকে বিছিন্ন করার ষড়যন্ত্র করছে। আমার বিরুদ্ধে এরিককে কাজে লাগাতে উঠেপড়ে লেগেছে। এটা কতটুকু মানবিক?