২০১৬ সালের ১৫ আগস্ট পায়রা নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি লিখেছিল পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শীর্ষেন্দু বিশ্বাস। তার এমন সচেতনতা ও সাহস দেখে অত্যন্ত খুশি হয়ে প্রধানমন্ত্রী তার চিঠির উত্তরও পাঠিয়েছিলেন। এবার সেই গল্পটি উঠে আসবে সিনেমার পর্দায়। ‘পায়রার চিঠি’ শিরোনামে সিনেমাটি নির্মাণ করছেন নিশীথ রঞ্জন সিনহা (সূর্য)। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে এর দৃশ্যধারণের কাজ।
নির্মাতা নিশীথ সূর্য বলেন, ‘গত ২১ জুলাই থেকে পটুয়াখালিতে সিনেমার দৃশ্যধারণ চলছে। পুরো ইউনিক এখন সেখানেই আছে। এতে শীর্ষেন্দুর ভূমিকায় আছে কৌশাল চৌধুরী এবং তার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন মাইমুন ফেরদৌস মম। আর সরকারি জুবিলি হাইস্কুলের শিক্ষিকার চরিত্রে অভিনয় করছেন প্রসূন আজাদ।’
প্রসূন বলেন, ‘ছবিটির গল্প সত্যিই মনের মতো। বাস্তব ঘটনাকে কেন্দ্র করে দারুণ একটি কাজ হবে এটি।’
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী বরাবর তিন পাতার চিঠিতে শীর্ষেন্দু লিখে, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সালাম ও শুভেচ্ছা নেবেন। আমি একজন সাধারণ নাগরিক। আমাদের গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠিতে। আমাদের মির্জাগঞ্জ পায়রা নদী পার হয়ে যেতে হয়। এ নদীতে প্রচণ্ড ঢেউ। মানুষ ভয় পায়। কখনো নৌকা ডুবে যায়। কখনো কখনো ট্রলার ডুবে যায়। আমার থেকে ছোট ভাই-বোন তাদের মা-বাবাকে হারায়। তাই আমি চাই না কারোর মা-বাবা চলে যায়। আমি আমার মা-বাবাকে প্রচণ্ড ভালোবাসি। তাদের হারাতে চাই না। তাই আপনার কাছে একটাই অনুরোধ যে, আপনি মির্জাগঞ্জ পায়রা নদীর ওপর ব্রিজের ব্যবস্থা করুন।’
চিঠির জবাবে ৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লিখেন, ‘স্নেহের শীর্ষেন্দু, তোমার চিঠি পেয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি জানি পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার পায়রা নদীটি অত্যন্ত খরস্রোতা। নিজের পিতা-মাতাসহ অন্যান্য পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এই নদীকেন্দ্রিক তোমার নিরাপত্তাসচেতনতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। মির্জাগঞ্জের পায়রা নদীতে একটি সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তোমাকে আশ্বস্ত করছি।’