নিজের সম্পদ নিয়ে শেষের দিকে উদ্বেগাকুল অবস্থায় ছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। সম্পদের নিরাপত্তায় জিডিও করেছিলেন। জিডির পরপরই বনানীর কার্যালয় থেকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার আজো কূলকিনারা হয়নি। তবে মৃত্যুর আগে তার স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পত্তি একটি ট্রাস্টকে দান করেছেন তিনি।
ট্রাস্টে রাখা হয়নি স্ত্রী রওশন এরশাদ, ভাই জি এম কাদেরসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেককে। এরশাদ ছাড়াও ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসেবে রয়েছেন- এরশাদের ছেলে এরিক এরশাদ, এরশাদের একান্ত সচিব মেজর (অব.) খালেদ আখতার, চাচাতো ভাই মুকুল ও তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর।
ট্রাস্টের সম্পত্তিতে কি রয়েছে জানতে চাইলে মেজর (অব.) খালেদ আখতার জানান, বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কের বাসা, গুলশান-২ এ একটি ফ্ল্যাট, কামাল আতাতুর্কে একটি দোকান, রংপুরের কোল্ড স্টোরেজ, পল্লীনিবাস এবং ১০ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট। খালেদ আখতার বলেন, এসব সম্পদ এরিক এরশাদ এবং তার প্রজন্ম ভোগ করবে কিন্তু বিক্রি করতে পারবে না।
এছাড়া জানা যায়, রাজধানী কাকরাইলের জাতীয় পার্টির কার্যালয় প্রতিষ্ঠানের নামে দান করেছেন। গুলশান-২-এর বাড়িটি রওশন এরশাদকে দিয়েছেন এরশাদ। রংপুরে জাতীয় পার্টির অফিসটি দলকে দান করেছেন এরশাদ।
পালিত পুত্র আরমানকে দেওয়া হয়েছে গুলশানের অপর একটি ফ্ল্যাট। রংপুরের সম্পত্তি পেয়েছেন তার ভাই জি এম কাদের ও ভাতিজা আসিফ শাহরিয়ার।