রঙিন দুনিয়ার তারকাদের নিয়ে দর্শকের আগ্রহের কমতি থাকে না। তবে সে তারকা যদি হয় পছন্দের তারকা তবে তার সঙ্গে কথা বলা কিংবা এখনকার প্রেক্ষাপটে যে কেউ সেলফি তুলতে চাইবেন। তবে সেলফি তুলতে চাওয়াতে যদি সেই পছন্দের তারকার সহকারী টাকা দাবি করেন, তখন বিব্রত না হয়ে উপায় থাকে না।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) এমনি এক ঘটনা ঘটিয়েছেন বাংলাদেশি টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্র অভিনেতা আফজাল শরীফের সহকারী। মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবি কবরস্থানের পাশে চায়ের দোকানে এক ভক্তের কাছে এমন উদ্ভট দাবি করে বসেন সহকারী পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তি।
বিষয়টি নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আফজাল শরীফের একজন বলেন, আমি ছোট বেলা থেকে আফজাল শরীফের অনেক বড় ভক্ত। সন্ধ্যায় আমি বাসা থেকে আপুর সঙ্গে একটা কাজে বাহিরে যাচ্ছিলাম। যাওয়ার পথে আমি একটা চায়ের দোকানে তাকে দেখতে পাই। দেখার সঙ্গে সঙ্গে আমার খুশির অনুভূতি বলে বোঝাতে পারব না। আপুকে বলি দাঁড়াও আমি উনার সঙ্গে সেলফি তুলব। আমি খুশিতে কিছু বলতে না পারায় আপু সেলফি তোলার কথা বলে। বলার সঙ্গে সঙ্গে চটে গিয়ে উনি বলেন, না আমি সেলফি তুলতে পারব না, এসব আমি তুলি না। একপর্যায় উনার পাশে বসে থাকা এক ব্যক্তি তার সহকারী পরিচয় দিয়ে বলে স্যারকে ১০০ টাকার নাস্তা খাওয়ান তাহলে উনি সেলফি তুলবেন!
সহকারী পরিচয় দেওয়া ব্যক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, হঠাৎ করে আফজাল শরীফের পাশ থেকে উঠে এসে বললেন স্যারকে নাস্তা খাওয়ান তাহলে আপনাদের সঙ্গে সেলফি তুলবেন। বেশি না, সামান্য ১০০ টাকার নাস্তা খাওয়ালে হবে! তখন আমি তাকে বলি সে কথা উনি নিজে বলুক। এরপর সহকারী পরিচয় দেওয়া ব্যক্তির সাথে কথা না বলে আফজাল শরীফকে বলে আসি আমি আপনার ছবি আর দেখবো না।
এ প্রসঙ্গে আফজাল শরীফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ ধরণের কোন বিষয় না। অনেকে এসব বিষয় নিয়ে দুষ্টমি করে। কারণ একজায়গায় প্রতিনিয়ত আড্ডা দিলে পরিচয় হয় অনেকের সঙ্গে, সেই সূত্রে হয়তো কেউ দুষ্টামি করে বলেছে। আর আমি অসুস্থ থাকায় ছবি তুলতে রাজি হইনি।
ঢাকাই ছবির শক্তিমান কমেডি অভিনেতা আফজাল শরীফের ছোট পর্দায় আত্মপ্রকাশ ১৯৮৮ সালে হুমায়ূন আহমেদ রচিত ও পরিচালিত টিভি ধারাবাহিক ‘বহুব্রীহি’তে অভিনয়ের মাধ্যমে। পরে ১৯৯২ সালে গৌতম ঘোষ পরিচালিত ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় তার। কমেডি চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি ২০১০ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন।