যৌনতা প্রকৃতির স্বাভাবিক ও অপরিহার্য এক বিষয়। সৃষ্টির ধারা বহাল রাখতে যৌনতার বিকল্প নেই। কিন্তু শুধুই কি সৃষ্টির ধারা বজায় রাখা কিংবা তাত্ক্ষণিক তৃপ্তি দেয় যৌনতা? নাকি নিয়মিত সুস্থ যৌন জীবনের সুদূরপ্রসারী কোনও সুফল রয়েছে? সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় এসব প্রশ্নেরই উত্তর মিলেছে।
নিয়মিত বৈধ যৌনতার বিবিধ উপকার আবিষ্কার করেছেন চিকিত্সা বিজ্ঞানীরা। দেখে নেওয়া যাক যৌন মিলনের দশটি সুফল।
১. নিয়মিত যৌন মিলন শারীরিক ব্যায়ামের সুফল দেয়। যে মহিলারা সপ্তাহে অন্তত দুই বার যৌন মিলনে অভ্যস্ত, তাঁদের হৃদরোগের সম্ভাবনা অনেক কম। তুলনায় যাঁরা মাসে একবার যৌন মিলনে অভ্যস্ত, তাঁদের হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেশি। তবে পুরুষের ক্ষেত্রে এর ফল উল্টো হতে পারে।
২. মাথা ব্যথা সারাতে যৌন মিলনের জুড়ি নেই। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, শরীরের যে কোনও ব্যথা চটপট সারাতে যৌনতা ফলদায়ী। এমনকি মাইগ্রেনের ব্যথা দূর করতেও কাজে দেয় যৌন মিলন।
৩. যাঁরা নিয়মিত যৌন জীবনে অভ্যস্ত, তাঁদের স্ট্রেসে ভুগতে হয় না। অঙ্ক কষা বা বক্তৃতা দেওয়ার মতো কাজে মানসিক চাপের হাত থেকে নিষ্কৃতি দেয় যৌনতা। তবে এ ক্ষেত্রে যৌন মিলনের কথাই বলা হয়েছে, হস্তমৈথুন অথবা স্বমেহনের মতো যৌন প্রক্রিয়ায় এই ফল মেলে না।
৪. সুস্থ নিয়মিত যৌন জীবন আয়ুবৃদ্ধি করে। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যে সমস্ত মহিলারা যৌন মিলনের সময় অনুভূতির শিখরে প্রায়ই পৌঁছন, তাঁরা সাধারণত দীর্ঘায়ু হন।
৫. বুদ্ধিতে শান দিতে নিয়মিত যৌন মিলন অভ্যাস করুন। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, যৌনতার সঙ্গে মস্তিষ্কের কোষ বৃদ্ধির সম্পর্ক রয়েছে। পঞ্চাশোর্ধ্বদের ক্ষেত্রে রোজ শারীরিক মিলনের ফলে স্মৃতিশক্তি ক্ষুরধার হয়। অঙ্ক কষার মতো কাজেও তাঁরা দড় হন বেশি।
৬. যৌনতাই হল আনন্দের চাবিকাঠি, দাবি মনোবিজ্ঞানীদের। সপ্তাহে একবার শারীরিক মিলনের ফলে দাম্পত্য বা প্রেমের সম্পর্ক মজবুত হয়। তবে খেয়াল রাখতে হবে, এই ব্যাপারে সঙ্গী বা সঙ্গীনির প্রতি বিশ্বস্ততা যেন অটুট থাকে। অন্যথায় বিপরীত ফল অনিবার্য।
৭. যৌন মিলনের ফলে শরীরে মেদ ঝরে। যার যত বেশি যৌন উদ্দামতা, তার ভুঁড়ি কমার সম্ভাবনা ততই প্রবল। তবে এক্ষেত্রে ধন্দ একটাই– যৌন মিলনের ফলে স্লিম হওযা যায়, না কি মেদহীন শরীর যৌনতায় বেশি সফল হয়!
৮. বিজ্ঞানীরা বলছেন, সর্দি সারাতেও জরুরী নিয়মিত যৌন মিলন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যে সমস্ত কলেজপড়ুয়া সপ্তাহে দুই বার যৌন মিলনে অভ্যস্ত, তাঁদের লালায় অন্যদের চেয়ে সর্দির বিরুদ্ধে লড়ার অ্যান্টিবডির উপস্থিতি অনেক বেশি।
৯. যৌন মিলনের পুরস্কার নিটোল ঘুম। প্রতিবার অর্গ্যাজমের সময় পুরুষ ও নারীর শরীরে এনডরফিন এবং অক্সিটসিন হরমোন নিঃসরণ বেড়ে যায়। এতে শরীরের ব্যথা ও আড়ষ্টতাবোধ অনেকাংশেই ফিকে হয়ে যায়। তার জেরে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হন বেশির ভাগ মানুষ।
১০. নিয়মিত যৌন মিলনের ফলে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস পায়। গবেষণায় প্রমাণিত, যে সমস্ত পুরুষ সুস্থ ও নিয়মিত যৌন জীবনে অভ্যস্ত, তাঁদের প্রস্টেট ক্যানসারের আশঙ্কা কমে। অন্যদিকে, মহিলাদের ক্ষেত্রে ব্রেস্ট ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।