মালয়েশিয়ায় শ্রেষ্ঠ ছোট ব্যবসা বিনিয়োগের সুযোগ আছে কি? আপনি মালয়েশিয়ায় একটি ব্যবসা শুরু করতে আগ্রহী কিন্তু আপনার ব্যবসায়িক ধারণা কম কি ? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্যই, কেননা এখানে রয়েছে মালয়েশিয়ায় সবচেয়ে ছোট ব্যবসা শুরু করার দশটি সুবর্ণ সুযোগের তথ্য ।
সিঙ্গাপুর তার দক্ষিন পাশে অর্থনীতিকে সচল রাখতে এবং তার নিকটবর্তী দেশ ইন্দোনেশিয়ায় একটি বৃহৎ ক্রেতা মার্কারের সাথে থাকতে বেশ সজাগ। আর এসব দিয়ে মালয়েশিয়া দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় একটি অদ্বিতীয় অবস্থানে আছে।
মালায়েশিয়ার প্রধান মন্ত্রীর দিক নির্দেশিত প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে, যার লক্ষ্য ২০২০ সালের মধ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দ্বিগুণ করা। সব শেষে সরকার মালয়েশিয়ার বিভিন্ন জায়গায় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের উৎসাহীত করতে এবং ব্যবসায় বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেয়ার লক্ষ্যে কিছু পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে।
তাই আপনি যদি উচ্চাকাঙ্ক্ষার সাথে মালয়েশিয়ায় একটি ব্যাবসা শুরু করার জন্য একজন আগ্রহী উদ্যোক্তা হন তবে আপনার নিম্নলিখিত ব্যবসার সুযোগ বিবেচনা করা উচিত যা মালয়েশিয়ায় বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে নতুন এবং সময় উপযোগি। মালয়েশিয়ায় শীর্ষ ১০ টি ছোট ব্যবসাসমূহ-
১. ট্রাভেল এজেন্সেী: মালেয়শিয়া ব্যবসায়ীক কেন্দ্র হওয়ায় অনেক মানুষ ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে দেশে এবং দেশের বাইরে ভ্রমন করে। ভ্রমনকারিদের এ সংখ্যা পর্যটন সংস্থা এবং ব্যাবসার জন্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বিশাল সুযোগ সৃষ্টি করছে। তাই আপনি যদি মালয়েশিয়ায় ব্যবসা শুরু করার চিন্তা ভাবনা করছেন তবে পর্যটন সংস্থা আপনার জন্য একটা ভাল অপশন হতে পারে। এটা শুরু করতে পারেন কেননা এটা শুরু করার জন্য স্বল্প পুঁজি প্রয়োজন এবং আয় হয় বিপুল।
২. ট্যুুরিজম: মালয়েশিয়া প্রতি বছর হাজার হাজার দর্শকের স্বাগতমের জন্য একটি গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা পালন করছে। দেশে আসা বিনিয়োগদেরকারী থেকে আসা এই লাভ দেশের পর্যটনখাতে যোগ হচ্ছে।তাই আপনার যদি বড় বাজেট থাকে তবে আপনি মালয়েশিয়ায় ছুটিতে আসা পর্যটকদের জন্য একটি হোটেল কিংবা রিসোর্ট বানাতে পারেন।
বেশ ভাল একটা ব্যাবসা বলতে পারেন এই ট্যুরিজম! ছোট ব্যবসার পণ্য এবং সেইসাথে পর্যটকদের খাদ্যাদি প্রদানের যে সেবা তার মাধ্যমে বেশ লাভবান হতে পারেন। তাই আপনার বাজেট বড় বা ছোট হোক না কেন আপনি সবসময় মালয়েশিয়ার পর্যটন খাত থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
৩. ফ্যাশন: মালয়েশিয়ার আর একটি সফল ব্যবসা হতে পারে ফ্যাশন। মালয়েশিয়ানরা অন্যান্য দেশের মানুষের মত ফ্যাশন ভালবাসেন।তারা যা পরেন আর যা তারা ভালবাসেন সেসবের প্রতি তাদের বিশেষ নজরদারী রয়েছে।যদিও অনেক ফ্যাশন কারেন্টের সারা দেশে ছড়িয়ে পরছে তাই নতুন বিনিয়গকারীদের অর্থ উপার্যনের জন্য যথেষ্ট সুযোগ আছে কিনা আপনাকে ভাবিয়ে তুলতে পারে।
তবে এত ভাববেন না এখানেও ভাল কিছু করার যথেষ্ট সুযোগ আছে।আপনি যদি মালয়েশিয়ায় যদি একটি ফ্যাসেন ব্যবসা শুরু করতে চান তবে যেটা আপনার মাথায় রাখতে হবে তা হল যে স্থানীয় ফ্যাশন সবচেয়ে ভালো বিক্রী করে।আপনি যদি ভিন্ন দেশ হতে ব্যবসা করতে আসেন তবে এটা অবশ্যই মনে রাখতে হবে।
৪. ফুড এন্ড স্নেকস্: খাবার দাবারের ব্যাপারে সবাই কিন্তু একধাপ এগিয়ে সেখানে মালয়েশিয়ানরা কেন পিছিয়ে থাকবে।তাই খাবার আর জলখাবার সত্যি অনেক ভাল বিক্রি হয় মালয়েশিয়ায়।তাই সেখানে খাবারের ব্যবসার একটা বিড়াট সুযোগ রয়েছে এবং সেটা হতে পারে আইসক্রিম ও দই এর মত খাবার দাবার। খাবারের ব্যবসা শুরু করা বেশ সহজ এবং অল্প মুলধনেই তা সম্ভব। সুতরাং, আপনি দ্রুত এই ব্যবসা থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন – এবং ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনি মালয়েশিয়া বহোন বা না হোন যদি এটা কোন ব্যাপার না।
৫. মাইক্রো ফাইন্যান্স: নতুন ব্যবসা বিশেষ করে ছোট ব্যবসার মালয়েশিয়া প্রতিদিন যেন নতুন করে উদয় হচ্ছে।যাদের ব্যবসায় একটি সাফল্যের গল্প রয়েছে তাদের যদি অর্থের প্রয়োজন হয় তবে তারা নির্দ্ধিধায় মাইক্রোফিনান্স ব্যাংক থেকে সাহায্য পেতে পারেন।
সুতরাং মাইক্রোফিনান্স ব্যাংকিং বিনিয়োগকারীদের এক্সপ্লোর করার জন্যএ একটি ভাল ব্যবসাই যথেষ্ট।তাই আপনার যদি ব্যাংকিং এবং ফিন্যান্সে ভাল একটা পটভূমি থাকে ব্যবসা সুচনা করার জন্য যথেষ্ট মূলধন থাকে তবে আপনি নিঃশ্চিতভাবে মাইক্রোফিন্যান্স ব্যাংকিং ব্যবসা শুরু করতে পারেন যা ক্ষুদ্র ব্যবসাগুলোকে আরো একটা ভাল উৎসাহ দিবে।
৬: অয়েল এন্ড গ্যাস: তেল ও গ্যাস পণ্য মালয়েশিয়ায় বলতে গেলে খুব ভাল বিক্রি হয় এবং আপনাকে এ ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে কিন্তু ডলারে ভরপুর কন ধনকুবের হতে হবেনা।কয়েক হাজার ডলার দিয়ে আপনি বিভিন্ন তেল আর গ্যাস যেমন- কেরোসিন ও প্রাকৃতিক গ্যাস এর মত পন্যের খুচরা বিক্রেতা হতে পারবেন।এবং আপনার যদি বিনিয়োগ করার মত বেশ ভাল একটা পুঞ্জি থাকে তবে আপনি কেরোসিন ও প্রাকৃতিক গ্যাস শিল্প থেকে পণ্য বিস্তৃত বিক্রি করে একটি ফিলিং স্টেশনে খুলতে পারেন।
৭. ইন্টারনেট ব্যবসা: বর্তমানে বহু সংখ্যক মালেয়শিয়ান অনলাইন ব্যবসায় পাওয়া বিশাল সুযোগের ব্যাপারে সচেতন হয়ে উঠছে।অনেক কলেজ শিক্ষার্থী এবং স্নাতকরা অনলাইন ব্যবসার মাধ্যমে প্রচুর অর্থ কড়ি উপার্জন করছে। অনলাইন এসব কাজের মধ্য রয়েছে- ওয়েবসাইট ডিজাইন, ফ্রিল্যান্স লেখার, অধিভুক্ত বিপণন, পেশাদার ব্লগিং, তথ্য বিপনন এবং অন্যান্য। ইন্টারনেট সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান কাজে লাগিয়ে আপনি বাড়িতে বসেই ভাল একটা কাজের শুরু করতে পারেন আর এ কাজে লাভ রয়েছে অনেক।তো দেরি না করে আপনিও শুরু করতে পারেন !
৮ প্রফেশনাল সার্ভিস: মালয়েশিয়ায় অনেক নতুন ছোট ব্যবসা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে এবং আর এসব কাজের পেছনে রয়েছে অনেক ছোট ছোট পরিশ্রমের ফল।আপনার যদি হিসাবরক্ষন বা অন্যান্য কাজে বিশেষ দক্ষতা থাকে তবে আপনি এসব কাজ পাওয়ার সুযোগ আপনার আংগুলের ডগায় ধরে নিন।
৯. লোকাল ট্যাক্সি সার্ভিস: আপনার যদি ব্যাক্তিগত কোন গাড়ী থাকে এবং সেটি যদি তেমন ব্যবহার করে না থাকেন তবে সেটিকে ফেলে না রেখে ট্যাক্সি হিসেবে কাজে লাগাতে পারেন। আর এখান থেকে আপনি বেশ ভাল উপার্জন করতে পারেন কেননা মালয়েশিয়ায় ট্যাক্সির বেশ চাহিদা রয়েছে।
১০. স্মার্ট ফোন কম্পিউটার রিপিয়ার: মালয়েশিয়ায় অধিকাংশ প্রাপ্তবয়স্কদেরই একটি স্মার্টফোন বা কম্পিউটার রয়েছে। তার মানে এধরনের ডিভাইসের যে কোন সমস্যাস সমাধান করার জন্য আপনার কাজের দক্ষতা আপনাকে ভাল একটা ব্যবসার সুযোগ দিচ্ছে। মানুষ এসব ডিভাইসগুলোর কোন সমস্যা হলে যতক্ষন একেবারে নষ্ট হয়ে না যায় ততক্ষন পর্যন্ত ঠিক করে ব্যবহার করতে চায়।
তাই আপনার এসব ডিভাইস ঠিক করার দক্ষতা আপনার জন্য তৈরী করতে পারে একটা সুবর্ণ সুযোগ। কি ভাবছেন? যদি আপনি মালয়েশিয়ায় একটি ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করতে চান তবে উপরের মেনু থেকে বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দের কাজটাকে। শুভ হোক আপনার কর্মময় জীবন।