১. কনটেন্ট রাইটিং: বর্তমানে অনলাইনে অর্থ উপার্জনের সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায় হলো লেখালেখি বা কনটেন্ট রাইটিং। অসংখ্য সাইট বা কোম্পানি আছে যারা নিজেদের বিভিন্ন আর্টিকেল লেখার জন্য উদীয়মান লেখকদের খোঁজেন। লেখালেখির মাধ্যমে শুধু অর্থ উপার্জনই হয় না এর পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে আপনি প্রচুর জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হবেন। প্রতিটি আর্টিকেল লিখে আপনি ঘরে বসেই ২০০-৫০০ টাকা পর্যন্ত অর্জন করেতে পারেন।
২. সিভি রাইটার: আজকাল অনেকেই সিভি লেখানোর জন্য প্রোফেশনাল সিভি রাইটারের শরনাপন্ন হন। আপনি যদি ভালো সিভি লিখতে পারেন তাহলে এ কাজটি আপনার জন্য। ঘরে বসেই আপনি ক্লায়েন্টের সিভি লিখে দিতে পারেন অথবা ক্লায়েন্টের বিভিন্ন তথ্য নিয়ে সেটিকে আরো নতুন অথবা আকর্ষণীয় করে তুলতে পারেন। এছাড়া পুরনো সিভিকে নতুন আঙ্গিকে উপস্থাপন করতে পারেন।
৩. ফিটনেস রাইটার: আপনি যদি স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে থাকেন তাহলে এই কাজটি আপনার জন্যই। কিভাবে শরীরকে ভালোভাবে তৈরী করতে হয় পাশাপাশি কোন খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এবং কোনটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর সেই বিষয়ে আপনি জনসচেতনতা তৈরী করতে পারেন। এছাড়া বডি শেপিং এর গুরুত্ব আপনি আপনার লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরতে পারেন। সেই সাথে স্বাস্থ্য সচেতনতা কিভাবে মানুষকে বিভিন্ন রোগ বালাই থেকে দূরে রাখে এবং তার গুরুত্ব আপনি অনেকের কাছে তুলে ধরতে পারেন।
৪. এডিটিং: ঘরে বসে আপনিও বিভিন্ন ধরনের এডিটিং এর কাজ করতে পারেন। পড়াশোনার পাশাপাশি এডিটিং এর কাজ করাকে অনেকেই আজকাল পেশা হিসেবে গ্রহণ করছেন। এডিটিং এর কাজের অংশ হিসেবে আপনি গ্রাফিক্সের কাজও করতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের বৈধ কাগজপত্রের চেক করা, কিছু পরিবর্তন করা অথবা কিছু সংযোজন করা। এই কাজগুলোর জন্য আপনাকে ইংরেজী গ্রামার এবং বানানের বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। এছাড়া আপনি চাইলে ভিডিও এডিটিং এর কাজও করতে পারেন। এজন্য শুরুতে ভিডিও এডিটিং অ্যাপ্লিকেশনগুলোর কাজ শিখে নিতে হবে। প্রতিটি ভিডিও এডিটিং এর মাধ্যমে তুমি বেশ কিছু অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
৫. ফটোগ্রাফি: আজকাল অনেককেই দেখা যায় ফটোগ্রাফার হিসেবে। ছবি তোলার পাশাপাশি তাকে মূল্যায়ন করাও তেমন জরুরি। তাই চাইলে আপনিও ঘরে বসে ইমেজ রিভিউয়ার হিসাবে কাজ করতে পারেন। এজন্য আপনাকে ছবিটা কত বেশী নিখুঁত তা অত্যন্ত যত্নের সাথে লক্ষ্য করতে হবে। এছাড়া আপনার ঘরে ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। সেই সাথে ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার থাকতে হবে।
৬. ব্যক্তিগত স্টাইলিস্ট: আজকাল ফ্যাশনের যুগ। সবাই নতুন ট্রেন্ড অথবা ফ্যাশনের সাথে আপ-টু-ডেট থাকতে পছন্দ করে। তাই আপনি চাইলে আপনার ক্লায়েন্টের ব্যক্তিগত স্টাইলিস্টের কাজ করতে পারেন। এজন্য আপনাকে ফ্যাশন জগত সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখতে হবে। আপনার ক্লায়েন্টকে কোন পোশাক পরে ফটোশুটে গেলে সবচেয়ে ভালো লাগবে সেই বিষয়ে আপনি তাকে ফোন অথবা ইমেইলের মাধ্যমে অবগত করতে পারেন। এছাড়া নতুন কী কী ব্রান্ডের পোশাক বাজারে এসেছে সেই সাথে ব্যাগ , কসমেটিক্স সহ কোনটি এখন মার্কেটে বেশী বিক্রি হচ্ছে সেই ব্যাপারেও তোমার ক্লায়েন্টকে জানিয়ে রাখতে পারেন।
৭. ইন্টারপ্রেটর/অনুবাদক: ঘরে বসে কাজ করার জন্য রিমোট ইন্টারপ্রেটর অনেক ভালো এটি কাজ। সারা বিশ্বব্যাপী অনেকেই অনুবাদক হিসেবে কাজ করছেন। ইংরেজী যেহেতু আন্তর্জাতিক ভাষা। তাই ইন্টারপ্রেটর হতে হলে আপনাকে ইংরেজী ভাষায় দক্ষ হতে হবে। ইংরেজী ছাড়াও যে ভাষায় অনুবাদ করতে হবে সেই ভাষা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখতে হবে। ঘরে বসে করার কাজ হিসেবে ভিডিও অথবা অডিও ইন্টারপ্রেটর অাজকাল ছাত্রদের মাঝে বেশ জনপ্রিয়।
৮. কোডিং: আপনার যদি কোডিং এ দক্ষতা থাকে তাহলে ঘরে বসেই আপনি বিভিন্ন সফটওয়ার কোম্পানির সাথে কাজ করতে পারেন। এজন্য ইন্টারনেট সংযোগ এবং একটি পারসোনাল কম্পিউটার থাকতে হবে। প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ যেমন: সি++, জাভা, পিএইচপি এর যে কোনো একটিতে পারদর্শী হলেই আপনিও ঘরে বসে ওয়েব ডেভেলপার, ডাটা অ্যানালাইসিস সহ বিভিন্ন কাজ করতে পারেন। এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানী তাদের ওয়েবসাইট বানানোর জন্য কোডার খুজঁছে। আপনি চাইলে বিভিন্ন কোম্পানীর জন্য ওয়েবসাইট অথবা কোনো সফটওয়ার বানাতে পারেন।
৯. ছোট ব্যবসা: আজকাল বাইরের ট্রাফিক পরিহার করার জন্য অনেকেই অনলাইন পণ্যের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছেন। ঘরে বসে বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে বিভিন্ন পেজ অথবা গ্রুপ খুলে আপনিও এমন কোনো ব্যবসা শুরু করেতে পারেন। বিভিন্ন ধরণের জামাকাপড়, কসমেটিকস ও বিভিন্ন গ্যাজেটসহ যেকোনো ধরণের পণ্য সামগ্রী বিক্রয় করতে পারেন। এর জন্য দরকার ক্রেতা জোগাড় করা, সময় এবং ক্রেতার বিশ্বাস অর্জন করা। এভাবে আপনিও ঘরে বসেই ব্যবসা চালাতে পারেন সেই সাথে অনেক মানুষের শপিং এর সময় বাচাঁতে পারেন।
১০. ডিজাইনিং: আজকাল অনেক জায়গায় অনেক সময় ডিজাইনার চায়। আপনি যদি ভালো এবং সুক্ষ্ন ডিজাইন করতে পারেন বলে মনে হয় তাহলে এই কাজের মাধ্যমে আপনি ঘরে বসেই অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। ডিজাইনার হিসেবে পার্ট টাইম চাকরী করার জন্য আপনাকে অনেক বেশী সৃজনশীল হতে হবে এবং সবসময় নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে কাজ করতে হবে। ডিজাইন করার জন্য বিভিন্ন সফটওয়ার যেমন ড্রিম ওয়েবার, ইলাসট্রেটর (Illustrator) ইত্যাদি সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে।