ফ্রিজের খাবার খাওয়া এখন নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। কাঁচা মাছ-মাংসই হোক কিংবা বেশি হওয়া তরকারি- সবকিছুই ফ্রিজ থেকে বের করে খাওয়া হয়। আর ব্যস্ত জীবনে ফ্রিজের বিকল্পের কথা তো ভাবাই যায় না। কিন্তু সব খাবার কী সত্যিই যত দিন খুশি রাখা যায় ফ্রিজে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন ‘না।’ সব খাবারেরই মেয়াদ আছে।
একটা সময় পর্যন্ত খাবারগুলো স্বাস্থ্যসম্মত থাকে। ফ্রিজে রাখলে কোনও খাবার দু’দিন ভালো থাকে আবার কোনোটা ১০ দিন ভালো থাকে। আবার ফ্রিজারে বা ডিপ ফ্রিজে খাবার বেশিদিন ভালো থাকে, তবে সেক্ষেত্রে জীবাণু আক্রমণ করতে পারে। তাই ডিপফ্রিজেও খাবার বেশিদিন রাখা ঠিক নয়।
জেনে নিন কোন খাবার কত দিন রাখা যেতে পারে:
কাঁচা মাছ ও মাংসজাতীয় খাবার:
কাঁচা মাংস এক থেকে দু’দিন রাখা উচিৎ। রান্না করা মুরগির মাংস তিন থেকে চার দিন রাখা যেতে পারে। আর রান্না করা মাছ তিন থেকে চার দিন ভালো থাকে।
ডিম:
কাঁচা ডিম ও সিদ্ধ ডিমের মেয়াদ আলাদা। ভাল কাঁচা ডিম ফ্রিজে ৩ থেকে ৫ সপ্তাহ পর্যন্ত রাখা যেতে পারে। আর সিদ্ধ ডিম রাখা যেতে পারে এক সপ্তাহ।বিভিন্ন ফল
স্ট্রবেরি পাঁচ থেকে সাত দিন থাকে। কলা থাকে দুই থেকে নয় দিন। কমলালেবু এক থেকে দু’মাস, আপেল এক থেকে দু’মাস, আঙুর পাঁচ থেকে দশ দিন, যে কোনও ধরনের কাটা লেবু দুই থেকে তিন দিন ও গোটা লেবু এক থেকে দু’মাস পর্যন্ত ভালো থাকে।
শাকসবজি
শাক কাটা না থাকলে তিন থেকে পাঁচ দিন রাখা যেতে পারে। ক্যাপসিকাম লাল ও হলুদ এক থেকে দুই সপ্তাহ আর সবুজ ক্যাপসিকাম দুই থেকে তিন সপ্তাহ থাকে। শসা ভালো থাকে এক সপ্তাহ, লেটুস পাতা সাত থেকে দশ দিন, টমেটো দু’সপ্তাহ ও আলু তিন থেকে চার মাস ফ্রিজে ভালো থাকে।চিজ ও মেয়োনিজ:
এই ধরনের খাবার সবসময় ফ্রিজে রাখার প্রয়োজন পড়ে। কারণ, এগুলি অনেক দিন ধরে থাকে। যেমন চিজ রাখা যেতে পারে তিন থেকে চার সপ্তাহ আর মেয়োনিজ থাকতে পারে দু’মাস।
অন্যান্য
কেক থাকবে দুই থেকে চার দিন। স্যুপ কিংবা স্ট্যু দুই থেকে চার দিন। পিৎজা তিন থেকে চার দিন। রান্না করা ভাত পাঁচ থেকে সাত দিন। রুটি সাত থেকে দশ দিন, টক দই দুই থেকে তিন সপ্তাহ থাকে। এছাড়া আচারের বোতলের মুখ খোলার পর এক মাস, মাখন এক থেকে তিন মাস, আদা দুই থেকে তিন মাস, লেবুর রস বোতলে ভরা থাকলে চার থেকে ছয় মাস, জেলি বা জ্যাম বোতলের খুল খোলার পর এক বছর ও সয়া সস দুই থেকে তিন বছর ভালো থাকে।
সুতরাং ফ্রিজে খাবার রাখলেও খাওয়ার সময় সতর্ক হতেই হবে।