ছোটবেলায় খাবার নষ্ট করেছেন অথচ গুরুজনের ধিক্কার জুটেনি এমন মানুষের সংখ্যা কমই বলতে হবে। কিন্তু মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের তো এমন কথা শুনতেই হয়েছে, ‘পাচ্ছিস খেয়ে নে, অনেকে তো পায় না।
পৃথিবীর কতো মানুষ না খেয়ে আছে!’ আমাদের এখানে অনেক কথা ‘বলার জন্য বলা’ হয়। তবে, গুরুজনদের একথা নিখাঁদ সত্য। প্রমাণ চান? মধ্য আমেরিকার দেশ ‘হাইতি’র দিকেই তাকান। খাবার জুটে না, তাই এখানকার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ মাটির তৈরি বিস্কুট খেয়ে ক্ষুধা মেটায়।
উল্লেখ্য, হাইতির অর্থনৈতিক অব্স্থা বিশেষ ভালো না। দেশটির বেশিরভাগ মানুষ দিনে ২ ডলারের কম আয় দিয়ে জীবন চালায়। এ দিয়ে, ভরপেট খাওয়াই হয় না তাদের। ফলে, ‘মাটির বিস্কুট’ সেখানে বহুল প্রচলিত এক খাবার। যদিও চিকিৎসকরা সতর্ক করেছেন, এসব বিস্কুট খাওয়ার কারণে সেখানকার মানুষের অপুষ্টিজনিত রোগ হচ্ছে। কে শোনে কার কথা? জীবন এখানে নিষ্ঠুর, নির্মম। ক্ষুধা পেটে পূর্ণিমার চাঁদকেও নাকি ঝলসানো রুটি মনে হয়, আর এ-তো বিস্কুট।
এ বিস্কুট বানানোরও কিছু কায়দা কানুন আছে। প্রথমে মাটিকে পানি দিয়ে নরম করে তাতে লবণ মেশানো হয়। পরে খামি বানানো হয়। সেটি হালকা ভেজিটেবল ওয়েল মাখিয়ে রোদে শুকানো হয়। শুকিয়ে শক্ত হয়ে গেলে সেই মাটির বিস্কুটই পরম তৃপ্তি নিয়ে খায় সব বয়সী মানুষ। আহা, ক্ষুধা!