বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার পুনর্বাসন কার্যক্রম ঈদের ছুটির পর পুরোদমে শুরু হবে।
এর আগে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে সদ্য সমাপ্ত শ্রীলংকা সফরের দল থেকে বাদ পড়েন তিনি। এ সময় মাশরাফিকে তিন সপ্তাহের জন্য বিশ্রামে পাঠানো। বিশ্রামকালে তাকে ঝুঁকিপূর্ণ সব ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেয়া হয়।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান ফিজিসিয়ান ডা. দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ২১দিন তাকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। এই মুহূর্তে কোন ধরনের অনুশীলন করা তার জন্য সম্পূর্ণ নিষেধ। কোন ধরনের পুনবার্সন কার্যক্রমেও অংশ নিতে পারবেন না। এমনকি ফিজিও থেরাপিও বন্ধ। ব্যাথা থেকে সম্পুর্নভাবে মুক্ত হওয়ার জন্য আমরা তাকে এই পরামর্শ দিয়েছি। এমনকি ফের ব্যথা লাগতে পারে এমন কোন কাজ করা থেকেও সম্পূর্ণ বিরত থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে মাশরাফিকে।
পাশাপাশি বিসিবি মেডিকেল দলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে টাইগার ওয়ানডে অধিনায়ককে। পরামর্শ অনুযায়ী তিনি কাজ করছেন এবং অবস্থার কথা নিয়মিতভাবে মেডিকেল দলকে জানাচ্ছেন।
দেবাশীষ বলেন, তিনি আমাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। এই মুহূর্তে তিনি কোন ব্যথা অনুভব করছেন না। তিনি আমাদের এটিও বলেছেন, দৈনন্দিন কাজে তিনি কোন ধরনের অসুবিধা বোধ করছেন না। সুতরাং এখন সময় হয়েছে তাকে পুনর্বাসনে পাঠানোর। ঈদের ছুটির পর আমরা তার পুনর্বাসন কাজ শুরু করব।
বিশ্বকাপের আগে আয়রাল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে চোটে পড়েন তিনি। তবে ওই অবস্থাতেই তিনি ত্রিদেশীয় সিরিজসহ পুরো বিশ্বকাপ খেলেছেন। যা ভাল হয়নি এবং যে কারণে মেগা এ ইভেন্টে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে পারফর্মেন্সের স্বাদ পেতে হয়েছে তাকে। বিশ্বকাপের আট ম্যাচে বল হাতে মাত্র এক উইকেট এবং ব্যাট হাতে ৩৪ রান করায় দলে তার অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।