যে সোনা কিনছেন সেটা আসল তো? স্বর্ণ কিনতে গিয়ে বা স্বর্ণের গহনা বানাতে গিয়ে স্বর্ণকারদের ফাঁদে পড়ে নকল সোনা কিনে ফেলেন। কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করেই বিষয়টা যাচাই করে নেয়া সম্ভব। আসল সোনা ২৪ ক্যারেটের। কিন্তু সেই সোনা দিয়ে গহনা তৈরি হয় না। কারণ, সেটা এত নরম হয় যে, গয়না তৈরি করা সম্ভব হয় না।
গয়না তৈরির জন্য মূলত ২২ ক্যারেটের সোনা ব্যবহার করা হয়। যার মধ্যে ৯১.৬৬ শতাংশ সোনা থাকে। সব ক্যারেটের হলমার্ক আলাদা আলাদা হয়। যেমন ২২ ক্যারেটে যে সংখ্যা থাকে তা হল ৯১৬, ২১ ক্যারেটে ৮৭৫, ১৮ ক্যারেটে থাকে ৭৫০।সোনায় যদি লোহা মেশানো থাকে, তা হলে সেটির কাছে চুম্বক ধরলেই তা টেনে নেবে।
বাজারে কিছু রাসায়নিক এবং অ্যাসিড আছে যেগুলো ব্যাবহার করে সোনার গুণগত মান যাচাই করা সম্ভব। ওই রাসায়নিক বা অ্যাসিড খাঁটি সোনার সংস্পর্শে এলে কোনও রকম বিক্রিয়া হয় না। কিন্তু বিশুদ্ধ না হলেই বিক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। ভিনেগার দিয়েও সোনা পরীক্ষা করা সম্ভব।
একটি গ্লাসে কিছু পরিমাণ হোয়াইট ভিনেগার নিয়ে তারমধ্যে গহনাটি ১৫ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন। তারপর গ্লাস থেকে গহনাটি বের করে নিন। খাটি স্বর্ণ হলে সেটা আগের মতোই চমকাবে আর নকল হলে উজ্জ্বল্য হারাবে। সাদা চীনেমাটির একটা প্লেট নিন। সোনার গয়না তার মধ্যে ঘষে দেখুন। যদি থালার উপর কালো দাগ পড়ে তা হলে বুঝতে হবে সোনা নকল।
আর যদি হালকা সোনালি রং পড়ে তা হলে বুঝতে হবে সেটা আসল। একটা গভীর পাত্রের মধ্যে দু’গ্লাস পানি নিন। তাতে কিনে আনা সোনার গয়না ফেলে দেখুন সেটা ভাসছে কি না। যদি ভাসে তা হলে বুঝতে হবে সেটা নকল।
হালকা কামড় দিয়ে ধরে রাখুন সোনা। যদি আসল হয়, তা হলে সোনার উপর কামড়ানোর হালকা দাগ পড়বে। ঘামের সংস্পর্শে এলেও আসল সোনাতে কখনও ঘামের গন্ধ ধরে না। যদি ঘামের গন্ধ ধরে তা হলে বুঝতে হবে নিশ্চয়ই কোন গড়বড় আছে।