পার্ট টাইম ব্যবসা বলতে সেই সকল ব্যবসাকে বোঝাঁয় যখন আপনি এক বা একাধিক কাজ করছেন এবং তার সাথে সাথে আরো একটি ব্যবসা করছেন। ধরুন আপনি সকাল ৯টা থেকে ৪টা পর্যন্ত অফিস করছেন, তার পরের সময়ে নিজ এলাকায় দোকান চালাচ্ছেন। আবার হতে পারে আপনার একটি সেলুন ব্যবসা আছে যেখানে আপনাকে সারাদিন থাকতে হয় না। অর্থাৎ পার্ট টাইম ব্যবসা বা সাইড ব্যবসা সব থেকে বড় গুন হচ্ছে অন্য কাজের সাথে ব্যবসা পরিচালনা।
কর্মজীবন শুরু করার জন্য একটি আদর্শ প্লাটফর্ম হলো ব্যবসা। আর সেই ব্যবসা যদি হয় চাকরি অথবা লেখাপড়ার পাশাপাশি তাহলে তো এর চেয়ে ভালো আয়ের মাধ্যম আর হতে পারেনা । পার্ট টাইম বা সময়োপযোগী ব্যবসা এমন একটি আয়ের মাধ্যম যা আপনি ঘরে বসেই অত্যন্ত ক্ষুদ্র পরিসরে শুরু করতে পারেন । এমন ১৫ টি পার্ট টাইম ব্যবসা নিয়েই আলোকপাত করব আজকের আলোচনায় ।
টি শার্ট ব্যবসা: বর্তমান আধুনিকতার যুগে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সময়োপযোগী ব্যবসা হলো টিÑশার্ট ব্যবসা । বিশেষ করে তরুন ব্যবসায়ীদের কাছে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ব্যবসা হিসেবে পরিগনিত হতে পারে ।
মগ প্রিন্ট ব্যবসা: মগ প্রিন্ট এর জন্য নির্ধারিত মেশিন কিনে অত্যন্ত সহজেই এ ব্যবসা আরম্ভ করা যেতে পারে । নিজের বাসগৃহ কিংবা ছোট দোকানেই জনপ্রিয় এ ব্যবসাটি শুরু করা যেতে পারে ।
সাপ্লাই ব্যবসা: এটি পৃথিবীর সবচেয়ে পুরাতন ও সফল একটি ব্যবসাখাত । এটি একটি সম্ভাবনাময় ব্যবসাক্ষেএ। শুরু করার পরে সারা বিশ্বব্যাপী এ ব্যবসাটি বিস্তৃত করা যেতে পারে । গৃহস্থালীর নানা ব্যবহার্য্য পন্য এবং হাটবাজার মেলার বিভিন্ন পন্য সরবরাহ করে শুরু করা যেতে পারে এ ব্যবসা ।
৯৯ গিফট শপ: ক্ষুদ্র ইনভেস্টমেন্ট আর স¦ল্প পরিসরে জায়গা নিয়ে শুরু করা যেতে পারে এ ব্যবসা। বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পন্য, খেলনা, কসমেটিক্স, গহনা, থ্রী পিস, গিফট আইটেম ইত্যাদি নিয়ে প্রাথমিক ভাবে এ ব্যবসা শুরু করা যায়।
স্টুডিও: স্টুডিও ব্যবসার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। অল্প সময়ে ছবি তোলা যায় বলে এটি একটি লাভজনক ব্যবসার খাত হিসেবে পরিচিত ।
লন্ড্রি শপ: শহর এবং গ্রামাঞ্চলে সমানভাবে জনপ্রিয় এ ব্যবসা। তরুন ব্যবসায়ীদের জন্য দারুন সম্ভাবনাময় খাত এটি ।
প্রিন্টিং প্রেস: অত্যন্ত সহজ ও লাভজনক হওয়ায় খুব সহজেই একটি প্রিন্টিং মেশিন দিয়ে শুরু করা যায় এ ব্যবসা। এটি খুব ক্ষুদ্র পরিসরেই শুরু করা যেতে পারে ।
ফ্যাশন হাউস: ফ্যাশন সচেতন তরুনদের কাছে খুব চ্যালেঞ্জিং একটি ব্যবসা খাত এটি । যে কোনো শপিংমল অথবা র্মাকেটে অল্প জায়গাতে সহজে শুরু করা যেতে পারে এ ব্যবসা ।
ফার্মেসি ব্যবসা: এটি অত্যন্ত সম্মানজনক ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসাক্ষেএ। এখানে কম পুঁজি বিনিয়োগ করে সহজেই লাভবান হওয়া যায়। এই ব্যবসা শুরু করতে হলে অভিজ্ঞতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কম্পিউটার বেসড আইটি সেন্টার: একটি কম্পিউটার এবং নিরবিছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করে সহজেই এই লাভজনক ব্যবসাটি শুরু করা যেতে পারে। অতিক্ষুদ্র পুঁজিতেই এই ব্যবসা শুরু করা যায়।
কোয়েল পালন: অল্প পুজিঁ, ছোট পরিসরে জায়গা নিয়ে পারিবারিকভাবে শুরু করা যেতে পারে একটি কোয়েল ফার্ম। এটি অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসাক্ষেএ হিসেবে পরিচিত।
সবজী চাষ: শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণে শাকসবজির গুরুত্ব অপরিসীম। প্রাথমিক প্রশিক্ষন আর সল্প পুজিঁ নিয়ে পতিত জমিতে শাকসবজি উৎপাদন শুরু করা যেতে পারে। বাজারে চাহিদার নিরিখে বিভিন্ন শাকসবজি যেমন ফুলকপি, বাধাকপি, লালশাক, আলু ইত্যাদি চাষ করা যেতে পারে।
কোচিং সেন্টার: স্কুল কলেজগামী ছাএছাএীদের জন্য কোচিং সেন্টার খুলে অত্যন্ত সহজ ও সম্মানিত এ পেশাটি গ্রহন করা যেতে পারে । এটি খুবই চ্যালেঞ্জিং একটি পেশা।
মিডিয়া ম্যান: সোশাল মিডিয়া কে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন কোম্পানি বা সংস্থাকে সাহায্য করে শুরু করা যেতে পারে এ ব্যবসা । এ ধরনের কাজগুলো যে কোন পেশার মানুষের জন্যই সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিতে পারে।
ইলেকট্রনিক্স সার্ভিসিং সেন্টার: আপনার যদি বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স পণ্য মেরামতে অভিজ্ঞতা তৈকে থাকে তাহলে আপনার বাড়িতে সহজেই খুলতে পারেন একটি ইলেকট্রনিক্স সার্ভিসিং সেন্টার। সূত্র: বাংলা প্রেইনার।