ঈদকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন জেলায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। চলছে কেনা-বেচা। হাটগুলো ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণায় হয়ে উঠেছে মুখরিত। অন্যদিকে, শেষ সময়ে গরু পরিচর্যায় ব্যস্ত খামারিরা। প্রাকৃতিক উপায়ে কোরবানির পশু পালনে রোগ প্রতিরোধের টিকা, পরামর্শসহ সবধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে জেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগ।
শনিবার দুপুরের পর থেকেই ক্রেতা-বিক্রেতার সরব উপস্থিতি ও দর-কষাকষি করে গরু-ছাগল বেচাকেনা চলছে। বিক্রেতারা বলছেন, দেশি গরুর চাহিদা বেশি। দামও লাখ টাকার ওপরে। তবে দাম একটু বেশি হওয়ায় তা সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে।
ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনে এবার সব মিলিয়ে পশুর হাট বসেছে ২৪টি। রহমতগঞ্জ ক্লাব মাঠ ও হাজারিবাগ পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, বেচাকেনা বেশ জমে উঠেছে। ছোট সাইজের গরু ৪০ হাজার থেকে ৫৫-৬০ হাজার, মাঝারি থেকে বড় ধরনের ক্রস গরু আকারভেদে ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা ও দেশি গরু ১ লাখ ২০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সারাদেশের অন্যান্য জেলার মত ফরিদপুরের বিভিন্ন হাট-বাজারে চলছে বেচাকেনার ধুম। জেলার টেপাখোলা পশুর হাট ও আফজাল মন্ডলের পশুর হাট ছাড়াও ছোট বড় হাট-বাজারে ক্রেতারা ভিড় জমেছে। এসব হাটে সারাবছর পশু বেচা-কেনা হলেও, কোরবানির ঈদে বাজারগুলো হয়ে ওঠে জমজমাট। সপ্তাহে দুই দিন হাট বসলেও ঈদকে সামনে রেখে এখন প্রতিদিনই বসছে। বিক্রিও চলছে বেশ ভাল।
যশোরের বেনাপোল উপজেলার শার্শার সাতমাইল কোরবানির পশুর হাট জমে উঠেছে। ভারতীয় গরু না আসায় এবার দাম কিছুটা বেশি হলেও দেশি গরু কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা। খামারিরা বলছেন, ভারতীয় গরু না এলে এ বছর তারা ভালো দামে গরু বিক্রি করতে পারবেন। তবে ঈদকে ঘিরে গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক খামারি। শুধু শার্শা উপজেলার ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ১১শ’ খামারের গরু বিভিন্ন পশুর হাটে নিচ্ছেন বিক্রেতারা। ভালো দামও পাচ্ছেন তারা।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাট জমে উঠেছে নাটোরে। আসন্ন ঈদে এই জেলার কোরবানি পশুর চাহিদা এক লাখ ৭২ হাজার। কিন্তু স্থানীয়ভাবে এক হাজার ২৩৮ জন খামারি এবছর ৩ লাখ ৯০ হাজার গবাদি পশু পালন করেছেন। এর বাইরেও ব্যক্তি পর্যায়ে অনেকে গবাদি পশু পালন করে হাটে বিক্রি করছেন। জেলার ২২টি হাটে গবাদি পশু বিক্রি হচ্ছে।
ফরিদপুর ছাড়াও কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জসহ আশপাশের জেলার বাজারগুলোও শেষ সময়ে জমজমাট হয়ে ওঠেছে। এবারের হাটে দেশি গরুর কদর বেড়েছে। তবে ভারতীয় গরু না আসায় দেশিয় ক্রস প্রজাতির গরু বেশি উঠেছে। গতবারের চেয়ে দামও একটু বেশি। দাম একটু বেশি হলেও ক্রেতারা যেভাবে হাটে আসছেন তাতে শেষের দিকে গরু খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে ধারণা করছেন।