উত্তাল যমুনায় প্রায় ৭০ কিমি. ভেসেছিল দুই শিক্ষার্থী। নৌকাডুবির পর অলৌকিকভাবে তারা বেঁচে ফিরেছে। জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ থেকে ভাসতে ভাসতে তারা চলে গিয়েছিল বগুড়ার সরিয়াকান্দিতে। সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে স্কুলছাত্র নয়ন ও স্কুলছাত্রী বিথীকে। দীর্ঘসময় তারা যমুনার উত্তাল স্রোত আর বৃষ্টির সঙ্গে লড়াই করেছে। ঘুটঘুটে আঁধারেও যমুনায় ভেসে থেকে জীবন বাঁচানোর সংগ্রাম করেছে
জানা গেছে, বুধবার জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে ইঞ্জিনচালিত নৌকাডুবিতে নিখোঁজ হয়েছিল শিক্ষার্থীসহ ৬ যাত্রী। এদের মধ্যে দুই শিক্ষার্থী অলৌকিকভাবে বেঁচে ফিরেছে। উত্তাল যমুনায় প্রায় ৭০ কিমি. ভেসে থেকে বেঁচে থাকার সংগ্রামে জয়ী হয়েছে তারা। এঘটনায় লাশ উদ্ধার করা হয়েছে দুই জনের। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন দুই যাত্রী।
শুক্রবার বগুড়ার সরিয়াকান্দি থেকে উদ্ধার করা হয় নয়ন নামে এক ছাত্রকে। সাহসী এই ছাত্র উত্তাল যমুনায় ভেসেছিল দুইদিন। শুক্রবার সারিয়াকান্দিতে একটি কাশবনে প্রায় অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় পাট শ্রমিকরা। পরে কিছুটা সুস্থ হলে সে সাংবাদিকদের জানিয়েছে চিৎ হয়ে দীর্ঘসময় সাঁতার কেটে বেঁচে ফিরেছে সে।
এর আগে বৃহস্পতিবার উদ্ধার করা হয় মমতা বিথি নামে এক ছাত্রীকে। ওই ছাত্রীও উত্তাল যমুনায় সাহসের সঙ্গে বেঁচে থাকার সংগ্রাম করেছে। প্রায় ৭০ কিমি. পথ কাঠের টুকরো ধরে ভেসে থেকেছে। তাকে সারিয়াকান্দির চন্দন বাইসা ঘুঘুমারি থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ আরো দুই যাত্রীর লাশ শুক্রবার উদ্ধার হয়েছে। এরমধ্যে শুক্রবার দেওয়ানগঞ্জ থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার ভাটিতে পাতালবাড়ি থেকে উদ্ধার রেজিয়া খাতুনের (৪৫) লাশ উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া বিকেলে পার্শবর্তী উপজেলা ইসলামপুরের জিগাবাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে তৈয়ব আলীর ছেলে দুলালের (৩০) লাশ। এখনো ওই নৌকার দুই যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন।
জানা গেছে, গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার বেদকা গ্রামের শাহনূরের ছেলে নয়ন বড়ভাই সেলিমের শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসেছিল। ত্রান নিয়ে ফেরার সময় ঝড়ের কবলে ২৭ যাত্রীসহ নৌকাটি মাঝনদীতে ডুবে যায়। এলাকাবাসী ২১ জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন। নিখোঁজ হয় ৬ যাত্রী। পরে দুই শিক্ষার্থী অলৌকিকভাবে বেঁচে যায়। লাশ উদ্ধার করা হয় দুইজনের।