ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে সাইকেল চালাতে অনেক সময়েই সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। তাই এই ঝঞ্ঝাট এড়াতে অনেকেই সাইকেল চালাতে চান না। তাই গাড়ির মতোই চারপাশ ঢাকা সাইকেল আসছে এবার। যেটি শুয়ে-বসে একেবারে আরাম করে চালানো যায়।
এতে আছে বৈদ্যুতিক মোটর। মোটর ব্যাটারি থেকে চার্জ সংগ্রহ করে। অন্যদিকে প্যাডেল ঘোরানোর সময় উৎপাদিত বিদ্যুৎ জমা হয় ব্যাটারিতে। সিট ডাইন বাইকের মত ডিজাইন করে এটাকে তৈরি করা হয়েছে। এতে আছে ৫০০ ওয়াটের ব্যাটারি। যা একবার চার্জ দিলে ১০০ মাইল পথ পাড়ি দিতে পারে।
সাইকেল গাড়ির কাঠামো স্টিল ফ্রেম দিয়ে তৈরি। অন্যদিকে এটির চারপাশ ঢাকা দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ফাইবার গ্লাস পড। এই পড খুব সহজেই উপরে তুলে এটির ভিতর চালক প্রবেশ করতে পারবেন।
তিন চাকার এই ট্রাইসাইকেলটি দেখতে অনেকটা গাড়ির মতই। হেডলাইট, বেকলাইট, টেইল লাইট, হর্ন সবই আছে এতে। এটির আবিস্কারক পিটার গিনজবার্গ। তিনি জানিয়েছেন, এটি চালাতে খুব বেশি একটা পরিশ্রম হয় না। রোদ কিংবা বৃষ্টির মধ্যে সাইক্লিং করতেও কোনও অসুবিধা নেই। আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য এটি উপযুক্ত।
পিটার একজন ডিজাইনার। তার মাথা থেকেই এমন ব্যতিক্রমী সাইকেল তৈরির আইডিয়া আসে। তিনি এটিকে বাজারজাত করতে চান। সেজন্য তিনি এখন অর্থসংগ্রহে নেমেছেন। তার প্রয়োজন ৫০ হাজার ডলার।
পিটার জানান, বাণিজ্যিকভাবে এই সাইকেল পডটি বাজারে এলে এটির দাম হবে ৬ হাজার ৯০০ ডলার।
ভার্জিনিয়ার এই বাসিন্দা জানান, ছোট বেলা থেকেই তার যন্ত্রের সঙ্গে সখ। তিনি ছোটবেলায় ছোট আকারের একটি মোটর সাইকেল, এবং গো-কার্টস তৈরি করে অন্যদের তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু এসব যান্ত্রিক গাড়ি বানানো ও চালানোর জন্য বৈধতা লাগে। তাই তিনি ছোট বেলা থেকেই এমন একটি গাড়ি তৈরি করতে চেয়েছিলেন যেটি বানাতে কোন বাধা নিষেধ নেই।
তেমনি এটি চালাতেও লাগবে না কোনও ড্রাইভিং লাইসেন্স। সেই ভাবনা থেকেই সাইকেল পডটি তৈরি করেছেন তিনি। পিটারের সাইকেল পডটি অ্যারোডায়নামিক ডিজাইনে তৈরি। ফলে এটি ভালোই গতি ওঠাতে পারে। প্যাডেল ঘুরিয়ে এটাতে ২০ মাইল গতি তোলা যায়। অন্যদিকে যখন মোটর চাকা ঘোরায় তখন ৩০ মাইল গতি ওঠে।