বলা হয়ে থাকে গোটা দুনিয়ার অর্ধেক সম্পদ কয়েকটি পরিবারের হাতে। সঙ্গত কারণেই সেই ব্যক্তি বা পরিবার সম্পর্কে জানার কৌতূহল সবার। তাহলে আসুন জেনে নিই বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী পরিবারের সংক্ষিপ্ত পরিচয়।
ওয়াল্টন
বিশ্বের ধনীতম পরিবারগুলোর মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে ওয়াল্টন পরিবার। বিশ্বের বৃহত্তম রিটেলার ওয়ালমার্ট সংস্থা এই পরিবারেরই। এদের মোট সম্পদের পরিমাণ ১৩ লাখ ৫৫ হাজার ২৫৫ কোটি টাকা।
মার্স
এটি একটি মার্কিন কনফেকশনারি সংস্থা। এদের সদর দফতর ভার্জিনিয়ায়। প্রতিষ্ঠাতা ফ্রাঙ্কলিন ক্ল্যারেন্স মার্স। কনফেকশনারি ছাড়া পশুখাদ্যও তৈরি করে সংস্থাটি। মার্স পরিবারের মোট সম্পদের পরিমাণ ৮ লাখ ৯৯ হাজার ৯৪৬ কোটি টাকা। সম্পত্তির নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মার্স পরিবার।
কচ
এটি কানসাসের তেল শোধনকারী সংস্থা। প্রতিষ্ঠাতা ফ্রেডরিক সি কচ। এই সংস্থার মোট সম্পদের পরিমাণ ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৭১৭ কোটি টাকা।
আল সৌদ
সৌদি আরবের রাজ পরিবারের মোট সম্পদের পরিমাণ ৭ লাখ ১১ হাজার ৪২০ কোটি টাকা।
চ্যানেল
এটি একটি ফরাসি সংস্থা। প্রতিষ্ঠাতা কোকো চ্যানেল। মূলত ফ্যাশনের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করে সংস্থাটি। মোট সম্পদের পরিমাণ ৪ লাখ ৯৭ হাজার ৭৭৯ কোটি টাকা।
হার্মেস
পোশাক, জুয়েলারি, ঘড়ি, সুগন্ধী, লেদারের সামগ্রী তৈরি করে প্যারিসের এই সংস্থাটি। ১৮৩৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাতা থিয়েরি হার্মেস। হার্মেস পরিবারের মোট সম্পদের পরিমাণ ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৭৬৪ কোটি টাকা।
অ্যানহিউসার-বাস্ক
সংস্থাটি যৌথ উদ্যোগে পরিচালনা করে ভ্যান ডম, ডি স্পোয়েলবার্ক, ডি মেভিয়াস পরিবার। এটি একটি বিয়ার প্রস্তুতকারক সংস্থা। এদের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৩৪১ কোটি টাকা।
বোহেরিংগার
এটি একটি জার্মান ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা। যৌথ উদ্যোগে সংস্থাটি চালায় বোহেরিংগার এবং ভন বমব্যাক পরিবার। এদের মোট সম্পদের পরিমাণ ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২২৬ কোটি টাকা।
আম্বানি
১৯৫৭ সালে রিলায়্যান্স সংস্থাটি শুরু করেছিলেন ধীরুভাই অম্বানী। তার মৃত্যুর পর ব্যবসা সামলান দুই ছেলে মুকেশ ও অনিল অম্বানী। সম্পদের হিসাবে এই পরিবারের স্থান নবম। মোট সম্পদের পরিমাণ ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকা।
কার্গিল
কৃষিপণ্য তৈরি করে এই সংস্থাটি। প্রতিষ্ঠাতা উইলিয়াম ওয়ালেস কার্গিল। সংস্থাটি পরিচালনা করে কার্গিল ও ম্যাকমিলন পরিবার। এদের মোট সম্পদের পরিমাণ ৩ লাখ ৫ হাজার ১৯৯ কোটি টাকা।