কাশ্মীর ইস্যুতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকের মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই অধিকৃত কাশ্মীরে টেলিফোন সংযোগ পুনরায় চালু করার ঘোষণা দিয়েছে ভারত।
শনিবার ভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যম জানায়, ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে জম্মু-কাশ্মীর। রাজ্যের ওপর থেকে কারফিউ শিথিল করার ফলে সেখানকার বেশ কিছু স্কুল-কলেজ খোলা হয়েছে। উপত্যকার কিছু জায়গায় মোবাইল আর ইন্টারনেট পরিষেবাও শুরু হয়েছে।
জানা যায়, মোট ১০০টি টেলিফোন এক্সচেঞ্জের মধ্যে ১৭টি চালু করা হয়েছে। চালু হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার ল্যান্ডলাইন। শ্রীনগরের কিছু কিছু এলাকাতেও চালু হয়েছে টেলিফোনের ল্যান্ডলাইন পরিষেবা।
সপ্তাহ দু’য়েক আগে ৩৭০ ধারা রদের প্রাক-মুহূর্তে নিরাপত্তার কারণে গোটা জম্মু-কাশ্মীরে টেলিফোন ও সব রকমের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
কিন্তু শনিবার থেকে বাদগাম, সোনমার্গ ও মধ্য কাশ্মীরের মনিগাম ও উত্তর কাশ্মীরের গুরেজ, তাঙ্গমার্গ, উরি কেরন কারনা, তাঙ্গধারে ল্যান্ডলাইন পরিষেবা চালু হয়েছে। আর শ্রীনগরে ওই পরিষেবা চালু হয়েছে বিমানবন্দর লাগোয়া এলাকা, সিভিল লাইন্স ও ক্যান্টনমেন্ট এলাকায়।
আর মোবাইলে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করা হয়েছে জম্মুর পাঁচটি জেলায়। তাদের মধ্যে রয়েছে, জম্মু, রিয়াসি, সাম্বা, কাঠুয়া ও উধমপুর।
এর আগে শুক্রবার রাতে পাকিস্তান ও চীনের আবেদনের প্রেক্ষিতে ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের সাম্প্রতিক সঙ্কট নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। স্বাভাবিকভাবে একে নিজেদের কূটনৈতিক বিজয় হিসাবেই দেখছে পাকিস্তান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মোহাম্মদ কুরেশি বলেছেন, কাশ্মীর যে একটি আন্তর্জাতিক ইস্যু, নিরাপত্তা পরিষদের এই বৈঠকই তার প্রমাণ।
ওই বৈঠকের পরদিনই কাশ্মীরের কারফিউ শিথিল এবং টেলিফোন সংযোগ চালু করার ঘোষণা দিলো ভারত সরকার।