ঈদের এক সপ্তাহ আগে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী সাদিয়া আক্তার। ঈদের ছুটিতে স্বামীকে নিয়ে হানিমুনে বের হয়েছিলেন। হানিমুন সেরে মাজার জিয়ারত করে বাড়ি ফেরার পথে সব শেষ হয়ে গেছে তার।
স্বামীর সঙ্গেই পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নিয়েছেন তিনি। সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও দুই বন্ধু-বান্ধবকে নিয়ে গেছেন না ফেরার দেশে। মেহেদির রং মুছে যাওয়ার আগে সাদিয়ার জীবন প্রদীপ নিভে গেছে। সড়কে পিষ্ট হয়েছে একটি সুখের সংসার।
জানা গেছে, শনিবার দিবাগত রাতে স্বামী ও বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে সিলেট থেকে প্রাইভেটকারযোগে ফিরছিলেন সাদিয়া। নরসিংদীর শিবপুর উপজেলায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কারারচর এলাকায় শ্যামলী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস তাদের প্রাইভেটকারের ওপর উঠে যায়। এতে স্বামীসহ সাদিয়া ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই বন্ধু-বান্ধব নিহত হয়েছেন। মুমুর্ষ অবস্থায় আহত ৪ জনকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন, প্রাইভেটকারের যাত্রী ঢাকার মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটির এমবিএ’র ছাত্রী সাদিয়া আক্তার সাথী, তার স্বামী ইমরান হোসেন, বান্ধবী জান্নাত রাইসা এবং বন্ধু আকিবুল হাসান। রাইসা ও আকিবুল হাসান মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ছিলেন। নিহত সাদিয়া আক্তার সাথী বগুড়া জেলার মোশাররফ হোসেনের মেয়ে। এবং তাঁর স্বামী ইকরাম নোয়াখালীর আবু হানিফের ছেলে। তিনি ঢাকায় ডেকোরেটরের ব্যাবসা করতেন।
হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, বিয়ের পর মিলেনিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদিয়া হানিমুন করতে সিলেটি গিয়েছিলেন। হানিমুন ও মাজার জিয়ারত শেষে বন্ধুদের সাথে প্রাইভেটকারযোগে সিলেট থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন। পথেই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।
আক্তারের ভাই রফিকুল ইসলাম জানান, চলতি মাসের ৬ তারিখ সাথী ও ইসমাইলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর ঈদের ছুটিতে গত ৪ দিন পূর্বে হানিমুন ও মাজার জিয়ারত করতে বন্ধুদের নিয়ে সিলেট যায়। ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় তারা নিহত হন।