ছোট একটা খাবার টেবিলে বসে আছেন, আপনার চারপাশে নীল রঙের পানিতে নানা রঙের, নানা জাতের মাছ ভেসে বেড়াচ্ছে। আপনার ধার ঘেঁষে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন প্রবালের সারি। ভাগ্য ভালো হলে দেখা মিলতে পারে হাঙর-অক্টোপাসেরও। আপনার সামনে বসা সঙ্গীর তো এবার সম্মোহন দশা। কারো মুখেই কোনো কথা নেই। চেয়ে আছেন বাইরের দৃশ্যের দিকে।
এমন সময় এসে উপস্থিত আপনার অডার্র করা খাবার। খেতে গিয়েও নিস্তার নেই। সেখানেও আপনার জন্য অপেক্ষা করছে আরেক চমক। থালাটির ঠিক মাঝখানে রয়েছে আপনার খাবার, আর চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে রঙবেরঙের মাছ। তারাও আবার ক্ষণে ক্ষণে রূপ বদলাচ্ছে। খেয়াল করলে দেখবেন, আপনার মাথার ওপর যে মাছগুলো ঘুরে বেড়াচ্ছে, এগুলো তারই প্রতিফলিত ছবি। এবার আর বিস্ময়ানুভ‚তি ধরে রাখতে পারলেন না। আপনার মুখ থেকেই বেরিয়ে পড়লোÑ বাহ! কী অসাধারণ প্রকৃতি। তবে এবার কিন্তু আপনি অ্যাকুরিয়ামে বন্দি, প্রাণী আর মাছের দল এসে আপনাকে দেখে যাচ্ছে।
এটা কোনো বৈজ্ঞানিক কল্প-কাহিনী নয়। নয় কোনো চলচ্চিত্রের দৃশ্যও। একদম বাস্তব। আপনার ধরাছেঁায়ার মধ্যেই। এটি দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপের ‘হুরাওয়ালহি’ দ্বীপের একটি রিসোটর্। সমুদ্রের ১৯ ফুট গভীরে রয়েছে রেস্তোরঁাটি। নাম তার ‘৫.৮ আন্ডার-সি রেস্টুরেন্ট’। পুরো রোস্তোরঁাটি ১৫ মিটার পুরু কাচের আবরণে মোড়া। ভেতরে পাতা আছে ১০টি টেবিল। আর ৯০ বগির্মটার সমুদ্র এলাকা নিয়ে এর অবস্থান।
রেস্তোরঁাটিতে প্রবেশ করতে হলে আপনাকে প্রথমে পানির ওপরে থাকা দীঘর্ এক জেটি অতিক্রম করতে হবে। এরপর গন্তব্যের কাছাকাছি পেঁৗছলে আপনাকে নিচে নামতে হবে। শেষ ধাপে সিঁড়ি দিয়ে আপনি পেঁৗছে যাবেন সমুদ্র গভীরের রেস্তোরঁায়। সেখানে আপনাকে দেয়া হবে সাত পদের খাবার। এতে থাকবে মাংস ও সামুদ্রিক মাছ। সমুদ্রের নিচের রেস্তোরঁার রান্নাঘরে এসব খাবার পাঠানো হয় ক্ষুদ্র এলিভেটরে।
রাজধানী মালে আন্তজাির্তক বিমানবন্দর থেকে নৌ-বিমানে মাত্র ৪০ মিনিটে পেঁৗছে যাবেন ‘৫.৮ আন্ডার-সি রেস্তোরঁায়। এর মধ্যে রয়েছে বেশ প্রশস্থ ৯০টি ভিলা বা রাত্রিযাপনের স্থান। আর ৬০টি ভিলা রয়েছে পানির ওপর। ৩০টি সমুদ্রসৈকতে। সংবাদসূত্র : সিএনএন