প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ঢাকা সফররত ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকেলে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার হাতে মোদীর আমন্ত্রণপত্র তুলে দেন।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন। তিনি জানান, অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীকে দ্বিপাক্ষিক সফরে ভারতে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ আমন্ত্রণের জন্য নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এর আগে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে জয়শঙ্করের দ্বিপাক্ষিক অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলা এ বৈঠকে তিস্তা চুক্তিসহ অমীমাংসিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
এর আগে নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলেই তার সঙ্গে তিস্তা চুক্তি হবে। সেই অঙ্গীকারে ভারত এখনো অনড়।
বৈঠক শেষে জয়শঙ্কর বলেন, তিস্তা চুক্তি বিষয়ে নরেন্দ্র মোদি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাতে অনড় ভারত। সেটা নিয়ে কাজ করছে সরকার। এ ছাড়া যোগাযোগ, জ্বালানি ও বাণিজ্য বৃদ্ধিতে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে।
এসময় রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে ভারতের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আসামের এনআরসি নিয়ে বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন এমন প্রশ্নের জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, জাতীয় নাগরিক পুঞ্জী (এনআরসি) ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে ২ দেশের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন হলেও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর জানান দুই দেশের মধ্যকার অভিন্ন ৫৪ নদীর পানি বণ্টনের নতুন ফর্মুলা খুঁজছে বাংলাদেশ-ভারত। পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন সমস্যার সমাধান করা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে ভারত। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সব ধরনের উন্নয়ন কাজে আমাদের সর্বাত্মক সহায়তা থাকবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, আসামে নাগরিক পুঞ্জি বা এনআরসি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ নিয়ে কথা বলার কিছু নেই।