স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর দেশ একজন নারীকে শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে পেয়েছে। সেই সাথে বাংলাদেশের ইতিহাসে যুক্ত হয়েছে নতুন এক অধ্যায়। নবম জাতীয় সংসদে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। দায়িত্ব পালনে ছিলেন সফল।
নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন এই দেশে প্রথম কোনো নারী হলেন শিক্ষামন্ত্রী। আর সেই দায়িত্বটা পেলেন চাঁদপুর-৩ আসনের এমপি ডা. দীপু মনি।
ষাটের দশকের মাঝামাঝি ভাষাবীর এমএ ওয়াদুদ এবং শিক্ষিকা রহিমা ওয়াদুদের ঘর আলোকিত করে জন্ম নেয়া শিশুটিই আজকের দীপু মনি। নতুন এই শিক্ষামন্ত্রীর মা রহিমা ওয়াদুদও ছিলেন একজন মানুষ গড়ার কারিগর। জ্ঞানের আলো বিলিয়েছেন দীর্ঘসময়। সাদামাটা তার জীবন-যাপন। তার মধ্যে কখনোই পরশ্রীকাতরতা নেই। কারো কিছু দেখলে পাওয়ার কোন লোভও নেই। অন্যের সফলতা দেখে ঈর্ষান্বিত হন না, বরং খুশি হন। সেই শিক্ষিকার মেয়েই আজ দেশের প্রথম নারী শিক্ষামন্ত্রী।
১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এলে নারীর ক্ষমতায়ন শুরু হয়। তারই ধারাবাহিকতায় নারীরা এগিয়ে চলছে দুর্বার গতিতে। যার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ডা. দীপু মনি। একাধারে তিনি প্রথম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।
দীপু মনি ছিলেন সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। হয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। দলের অন্যতম মুখপাত্র হিসেবে সারাদেশে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুনাম কুড়িয়েছেন। তরুণ প্রজন্মের কাছেও প্রিয় নেত্রী হতে পেরেছেন।