বরিশাল নগরী থেকে নিখোঁজ দুই তরুণীকে দীর্ঘ ৫ মাস পর উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারের পর সমকামীতার জন্য তারা দুইজন রাজশাহীতে গিয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে সংসার করার বিষয়টি পুলিশের কাছে স্বীকার করে। একই সাথে রোববার বিকেলে আদালতে ২২ ধারার জবানবন্দিতেও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পলি আফরোজের নিকট সমকামীতার কথা স্বীকার করেছে তারা। আদালতের নির্দেশে রাতেই ওই দুই তরুণীকে কোতোয়ালী মডেল থানা থেকে দুই পরিবারের অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়েছিলো।
কোতোয়ালী মডেল থানার এসআই ফিরোজ আল মামুন বাংলাদেশ জার্নালকে জানান, গত ১৮ মার্চ ওই দুই তরুণী নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় ওই দিনই নিখোঁজ এক তরুণীর বাবা বাদী হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় তিনজনকে আসামি করে অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলায় নগরীর অক্সফোর্ড মিশন রোডের আমজাদ মঞ্জিলের ভাড়াটিয়া আব্দুর রহমান দুলাল ফকিরের ছেলে উজ্জল হোসেন রানা, তার স্ত্রী আলেয়া বেগম ও মেয়ে জামাতা মো. মাসুমকে অভিযুক্ত করা হয়।
পরে পুলিশি অভিযানে অপহরণ মামলার প্রধান আসামি উজ্জল হোসেন রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সমকামী ওই দুই তরুণীর অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা চালানো হয়। তাদের অবস্থান রাজশাহী মেট্রোপলিটন এলাকায় নিশ্চিত হওয়ার পর গত শনিবার বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার পুলিশ রাজশাহীর নওদাপাড়া এলাকায় আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাড়ির ভাড়াটিয়া বাসা থেকে তাদের উদ্ধার করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আরো জানান, ওই দুই তরুণী অপহৃত হয়নি এবং তারা স্বেচ্ছায় বাড়ি থেকে পালিয়ে রাজশাহীতে গিয়ে ভাড়া বাসায় সংসার করে আসছিলো। তারা সমকামীতায় জড়িত এবং এ কারণেই আত্মগোপন করে বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।
রোববার তাদের বরিশাল আদালতে সোপর্দ করা হলে তারা দু’জন আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দিতেও একই কথা বলে। পরে আদালতের নির্দেশে ওই দুই তরুণীকে তাদের পরিবারের জিম্মায় দেয়া হয়।