আপনি কি কখনো কাউকে মনে মনে পছন্দ করেছেন? যদি করে থাকেন, তাহলে যখন কাউকে ভালো লেগে যায়, তখন আমাদের মনে যে স্বর্গীয় অনুভুতি জাগে সেটার সাথে নিশ্চয়ই আপনি পরিচিত। কখনও লক্ষ্য করেছেন যে আপনার যেমন কাউকে ভালো লাগতে পারে, তেমনি আপনার আশে পাশেও এমন কেউ আছে কিনা যে হয়তো আপনাকেও পছন্দ করে।
যখন কাউকে এভাবে ভালো লেগে যায় বা আমরা যদি বুঝতে পারি যে কেউ আমাদের মনে মনে পছন্দ করে, তাহলে অবশ্যই এক্ষেত্রে মনের কথাটি প্রকাশ করাই সবচেয়ে ভালো। কিন্তু বিভিন্ন কারণে আমরা সেটা করিনা বা করতে সংকোচ বোধ করে থাকি, যার মধ্যে বড় একটি কারণ হলো অনিশ্চয়তা।
একটা সময় পর্যন্ত এটিও সঠিক। কারণ কোন ছেলে বা মেয়ে আপনাকে পছন্দ করে এটা পুরোপুরি নিশ্চিত না হয়ে আপনি যদি তার সাথে আলাপ করেন আর আপনার অনুমান যদি ভুল প্রমাণিত হয়, তাহলে অবশ্যই সে আপনার আশানুরুপ প্রতিক্রিয়া দেখাবে না। ফলস্বরুপ আপনাকে একটি বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে। তাই, চলুন জেনে নিই যেভাবে আপনি বুঝবেন যে কেউ আপনাকে পছন্দ করে।
যখন কাউকে এভাবে ভালো লেগে যায় বা আমরা যদি বুঝতে পারি যে কেউ আমাদের মনে মনে পছন্দ করে, তাহলে অবশ্যই এক্ষেত্রে মনের কথাটি প্রকাশ করাই সবচেয়ে ভালো। কিন্তু বিভিন্ন কারণে আমরা সেটা করিনা বা করতে সংকোচ বোধ করে থাকি, যার মধ্যে বড় একটি কারণ হলো অনিশ্চয়তা।
একটা সময় পর্যন্ত এটিও সঠিক। কারণ কোন ছেলে বা মেয়ে আপনাকে পছন্দ করে এটা পুরোপুরি নিশ্চিত না হয়ে আপনি যদি তার সাথে আলাপ করেন আর আপনার অনুমান যদি ভুল প্রমাণিত হয়, তাহলে অবশ্যই সে আপনার আশানুরুপ প্রতিক্রিয়া দেখাবে না। ফলস্বরুপ আপনাকে একটি বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে। তাই, চলুন জেনে নিই যেভাবে আপনি বুঝবেন যে কেউ আপনাকে পছন্দ করে।
যখন কাউকে এভাবে ভালো লেগে যায় বা আমরা যদি বুঝতে পারি যে কেউ আমাদের মনে মনে পছন্দ করে, তাহলে অবশ্যই এক্ষেত্রে মনের কথাটি প্রকাশ করাই সবচেয়ে ভালো। কিন্তু বিভিন্ন কারণে আমরা সেটা করিনা বা করতে সংকোচ বোধ করে থাকি, যার মধ্যে বড় একটি কারণ হলো অনিশ্চয়তা।
একটা সময় পর্যন্ত এটিও সঠিক। কারণ কোন ছেলে বা মেয়ে আপনাকে পছন্দ করে এটা পুরোপুরি নিশ্চিত না হয়ে আপনি যদি তার সাথে আলাপ করেন আর আপনার অনুমান যদি ভুল প্রমাণিত হয়, তাহলে অবশ্যই সে আপনার আশানুরুপ প্রতিক্রিয়া দেখাবে না। ফলস্বরুপ আপনাকে একটি বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে। তাই, চলুন জেনে নিই যেভাবে আপনি বুঝবেন যে কেউ আপনাকে পছন্দ করে।
যদি কেউ প্রকৃতপক্ষে আপনার প্রতি আগ্রহী হয়ে থাকে, তাহলে আপনি সহজেই লক্ষ্য করতে পারবেন যে আপনার সম্মুখে তারা এমন কিছু আচরণ করতে যা তারা সচরাচর অন্যদের সাথে করে না। এর সহজ ব্যখ্যাটি হলো যে, সে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায় যাতে আপনি তাকে লক্ষ্য করেন।
এছাড়াও কিছু কিছু কাজের মাধ্যমে সে আপনাকে বোঝাতে চাইবে যে, আপনি তার কাছে অন্য মানুষদের থেকে আলাদা। আপনাকে তার নিকট বিশেষ একজন মানুষ হিসাবে সে উপস্থাপন করতে চাইবে।
পারসোনালিটি অ্যান্ড সোস্যাল সাইকলোজি বুলেটিন এর এক গবেষণায় উল্লেখ করা হয় যে, যদি কোন ব্যক্তি আপনাকে পছন্দ করে থাকে, তাহলে আপনি যখন তার আশে পাশে থাকেন, তখন সে যেকোন কাজ পূর্বের চেয়ে বেশি উদ্যমের সাথে এবং অন্যদের তুলনায় ভালোভাবে করার চেষ্টা করে থাকে, যাতে আপনি তাকে লক্ষ্য করেন।
প্রিয় মানুষটির কাছাকাছি থাকতে পারা বা তার একটু স্পর্শ পাওয়াটা যেন ভালোবাসায় একটু অন্যমাত্রা যোগ করে। তাই ভালোলাগার মানুষটির একটু ছোঁয়া পেতে আমরা কোন না কোন বাহানা খুঁজতে থাকি। আপনার চারপাশেও যদি এমন কেউ থাকে, যে সব সময় কোন না কোন ভাবে আপনার কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করে। আড্ডা বা গল্পগুজবে আপনার পাশে বসার সুযোগটি গ্রহণ করে, হাসি ঠাট্টা বা একসাথে কোন খেলাধুলার মাধ্যমে আপনার স্পর্শ পাওয়ার চেষ্টা করে, তাহলে দেরি না করে আপনিও আপনার মনের অনুভুতি তার সামনে ব্যক্ত করুন।
বলা যেতে পারে এটিই সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি, যার মাধ্যমে আপনার প্রতি কারো অনুভুতিগুলি সম্পর্কে অনুমান করতে পারবেন। আপনাকে কারণে অকারণে ফোন করা, নিজের ব্যক্তিগত বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলা এবং আপনার মতামত জানতে চাওয়া, পাশাপাশি আপনার কথা অনুযায়ী কাজ করা ইত্যাদি কাউকে ভালো লাগার প্রাথমিক বহিঃপ্রকাশ।
এক্ষেত্রে মনে হতেই পারে যে, ভালো বন্ধুরাও তো এমন কাজটি করে থাকে। হ্যাঁ, আমিও স্বীকার করি যে ভালো বন্ধুদের সাথেও এমন ঘটনা ঘটে থাকে। কিন্তু আপনার সাথে এর ব্যক্তিক্রমটি ঘটছে, এটার প্রমাণ আপনি তখনই পাবেন, যখন আপনি দেখবেন যে, সে আপনার সাথে যেসব বিষয় নিয়ে কথা বলে। অথবা আপনার সাথে যেসব অনুভুতি ভাগাভাগি করে নেয়, অন্যান্য বন্ধুদের সাথে তা কখনোই করে না।
আপনাকে যে পছন্দ করবে নিশ্চিতভাবে সে আপনার সম্পর্কে জানতেও আগ্রহী হবে। সেটা প্রত্যক্ষভাবেও হতে পারে, আবার পরোক্ষভাবেও হতে পারে। প্রত্যক্ষভাবে হলে সে আপনাকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করবে। গল্প আড্ডা, মোবাইলে আলাপ বা সোস্যাল মিডিয়াতে চ্যাটিং এর মাধ্যমে আপনার সম্পর্কে জানতে চাইবে।
আর পরোক্ষভাবে হলে সে আপনার পরিচিত কারো কাছ থেকে আপনার সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় জানতে চাইবে। অথবা আপনার সোস্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আপনার বিভিন্ন কর্মকান্ড পর্যালোচনা করে তার উপর অনুমানের ভিত্তিতে আপনার ভালো লাগার বিষয়গুলি সম্পর্কে ধারণা নেবে।
তবে যেভাবেই সে জানুক না কেন, আপনার দেখার বিষয়টি হচ্ছে সে আপনার পছন্দ অপছন্দকে গুরুত্ব দিচ্ছে কিনা। অর্থাৎ আপনি না বলা স্বত্বেও যদি সে আপনার ভালো লাগার কাজগুলি করে এবং আপনার অপছন্দনীয় কাজগুলি করা থেকে নিজেকে বিরত রাখে, তাহলে এটি অনেকখানিই নিশ্চিত যে সে আপনার প্রিয়পাত্র হওয়ার জন্য চেষ্টা করছে। এমনিক, বিশেষভাবে আপনি যাতে সেটি লক্ষ্য করেন, সেই চেষ্টা করে যাচ্ছে।
কেউ আপনাকে ভালোবাসে এবং সেটি নিজে থেকে অনুসন্ধান করে নিশ্চিত হওয়ার বিষয়টি আসলেই মজার। কিন্তু আপনাকে অবশ্যই এক্ষেত্রে কিছু কিছু বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। মনে রাখবেন কাউকে ভালো লাগা বা পছন্দ করার বিষয়টি অবশ্যই চিরস্থায়ী নয়। তাই বার বার চেষ্টা করা সত্বেও আপনার পক্ষ থেকে যদি কোন প্রতিক্রিয়া সে না পায়, তাহলে আস্তে আস্তে সে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে এবং আপনি নিজেকে তার কাছে বিরক্তিকর এবং বোকা একজন মানুষ হিসাবে উপস্থাপন করবেন।
আপনি যখন তার সাথে কথা বলবেন বা দেখা করবেন, অবশ্যই এ বিষয়গুলিকে মাথায় রাখুন। সে আপনার প্রতি আগ্রহী, তার মানে কখনোই এটি ভেবে নেবেন না যে, আপনি নিজের জায়গায় পুরোপুরি সঠিক। নিজের সবচেয়ে ভালো গুনাবলীগুলোকে তার সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করুন এবং যথাসম্ভব নিজেকে জাহির করার প্রবণতা থেকে বিরত থাকুন। এর মাধ্যমে আপনার প্রতি যে আকৃষ্ট তাকে পাওয়ার সম্ভবনাকে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে, যারা আপনার প্রতি আগ্রহী নয়, তাদেরকেও আপনার ব্যক্তিত্বের প্রতি আগ্রহী করে তোলা সম্ভব। সুত্রঃ ইন্টারনেট