ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত ৬৯ জন শিক্ষার্থীকে শৃঙ্খলা পরিষদের দেওয়া বহিষ্কারাদেশ বহাল রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সাময়িক বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের একসপ্তাহ সময় দিয়ে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হবে। নোটিশের সন্তোষজনক জবাব না পেলে তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী সিন্ডিকেটের এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় উপস্থিত কয়েকজন সিন্ডিকেট সদস্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত ৬ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিষদের এক সভায় ওই ৬৯ জন শিক্ষার্থীকে অভিযোগের বিষয়ে কারণ দর্শানোর জন্য এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হবে বলে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শৃঙ্খলা পরিষদের ওই সুপারিশ গ্রহণ করেছে সিন্ডিকেট।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতিতে অভিযুক্ত ৬৯ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। শৃঙ্খলা পরিষদের সুপারিশ সিন্ডিকেট গ্রহণ করেছে। সুপারিশ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বহিষ্কৃত এই ৬৯ জন শিক্ষার্থী ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত জালিয়াতির মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। তারা সবাই পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চলতি বছরের ২৩ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ জন শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন এবং পাবলিক পরীক্ষা আইনে পৃথক দু’টি অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
গত ২৬ জুন প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় ৭৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা মহানগর হাকিম।