এক শিক্ষার্থীর গোপনীয় ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার ঘটনায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ২ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ হেফাজতে থাকা ওই ২ শিক্ষার্থীকে সোমবার গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এর আগে রোববার বেলা দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে অভিযুক্ত ওই দুই শিক্ষার্থীর নিরাপত্তাজনিত কারণে ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তুলে নিয়ে যায় ববি পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা। গতকাল সন্ধ্যায় ভিকটিম সহ অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বন্দর থানায় নেওয়া হয়।
বন্দর থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, সেখানে ভিকটিম শিক্ষার্থী গোপন ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন। তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থীকে বন্দর থানায় পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়। পরে সোমবার ওই দুই শিক্ষার্থীর নামে মামলা করলে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা উভয়েই ববির মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। এই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে গতকাল একটি ল্যাপটপ জব্দ করা হয়।
জানা যায়, এক ছাত্রীর ল্যাপটপে তার ব্যক্তিগত ভিডিও কৌশলে পেন ড্রাইভে করে নিয়ে নেয় অপর এক ছাত্রী। পরে ওই ভিডিও দিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে ব্ল্যাকমেল করে আসছিল ওই দুই শিক্ষার্থী। এ ছাড়া ভিকটিম এই ছাত্রীর থেকে আর্থিক সুবিধা নেওয়ার পাশাপাশি অনৈতিক প্রস্তাবেরও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সুব্রত কুমার দাসের কাছে এ বিষয় জানতে ফোন করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
এদিকে, এই ঘটনায় সোমবার বরিশাল শহরের একটি মেস থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ জন শিক্ষার্থীকে বরিশাল কোতোয়ালি থানা-পুলিশের সদস্যরা তুলে নিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এই তিন শিক্ষার্থীদের ২ জনকে ছেড়ে দিয়ে বাকি ১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
ববি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সবুর জানান, এক ছাত্রীর ব্যক্তিগত গোপনীয় ভিডিও ভাইরাল করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ২ জন শিক্ষার্থীকে বেশ কয়েকজন মিলে মারধর করার চেষ্টা করলে নিরাপত্তার জন্য আমরা তাদের পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসি। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বন্দর থানায় নেওয়া হয়। আজ ভিকটিম মামলা করলে বন্দর থানা তাদের গ্রেপ্তার করে।