জোর করে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পাঠানো হবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনস, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) নির্বাহী কমিটির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন। মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন। এ সময় তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে জোর করে পাঠানো হবে না। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা ভাসানচরে গেলেও সংকটের শেষ হবে না। এটি হবে সাময়িক সমাধান। এবার বর্ষায় ভূমিধসের আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পাঠাতে চেয়েছিলেন। সেখানে রোহিঙ্গারা গেলে তাদের রুজি-রোজগারের ব্যবস্থা হতো।
এ সময় এনজিওগুলোর সমালোচনা করে আবদুল মোমেন বলেন, রোহিঙ্গারা ভাসানচরে যেতে রাজি হয়নি। এ বিষয়ে এনজিওরা বাধা দিয়েছে। কারণ সেখানে তাদের জন্য ফাইভস্টার হোটেলের ব্যবস্থা নেই।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অত্যাচারে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নেয় রোহিঙ্গারা। এরপর নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তরের ক্ষেত্রে সরকারের পরিকল্পনাকে গত মার্চ মাসে স্বাগত জানায় জাতিসংঘ। তবে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর করা হলে সেখানে বসবাসের জন্য কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকবে- তা সরকারের কাছে জানতে চায় সংস্থাটি।