বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী সময়ের নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে বলে আবহাওয়া কার্যালয় জানিয়েছে।
আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম জানান, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপের ফলে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে। পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি অব্যাহত থকতে পারে।
আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
এ ছাড়া সারা দেশের দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
আবহাওয়া কার্যালয় জানায়, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরো বলা হয়, উত্তর ওডিশা-গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ উপকূল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে উত্তর ওডিশা ও তৎসংলগ্ন মধ্য প্রদেশে অবস্থান করছে।
মৌসুমি অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল অতিক্রম করে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের কেন্দ্রস্থল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে শক্তিশালী অবস্থায় বিরাজমান।