জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছেন বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপাকালে তিনি এ দাবি করেন।
জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে ‘বৈধ রাষ্ট্রপতি’ বলা যায় না এবং এরশাদের ক্ষমতা গ্রহণের পর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ‘সুবিধা’ নিয়েছেন বলে প্রধানমন্ত্রী রোববার সংসদে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ফখরুল বলেন, সংসদে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) প্রায়ই অসত্য কথা বলেন। যে কথার কোনো ভিত্তি নেই। ইতিহাসও তার সাক্ষ্য দেয় না।
তিনি বলেন, সত্য হচ্ছে এটাই যে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ একজন নির্বাচিত বিচারপতিকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিলেন তখন তিনিই (প্রধানমন্ত্রী) বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্তে বলেছিলেন- শি ইজ নট আনহ্যাপি- এরশাদ আসায় তিনি অখুশি নন। পরবর্তীতে তার কাজ দেখে আমরা বুঝতে পারি তিনি এরশাদকে সঙ্গে নিয়েই এদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছেন মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছেন। কারণ বরাবরই তিনি এরশাদকে সঙ্গে নিয়ে অ্যালায়েন্স করেছেন। তাকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনকে হত্যা করে বিরোধী দলে বসিয়েছেন। যে কারণে আমরা বলি, এরশাদ হচ্ছেন সম্পূর্ণ আওয়ামী লীগের, শেখ হাসিনার গৃহপালিত বিরোধী দল।
বিএনপি মহাসচিব করেন, জনবিরোধী সরকার শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলকভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করে রেখেছে। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। তার কোনো চিকিৎসার ব্যবস্থা হচ্ছে না। আজকের এই দিনে মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমরা তাকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেছি। পরম করুণাময় আল্লাহ তায়ালার কাছে এই দোয়া চেয়েছি যে আল্লাহ তায়ালা যেন তাকে অবিলম্বে মুক্ত করেন।
তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা এবং গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করার শপথ আজকে মহিলা দল নিয়েছে। আমরা আশা করি সম্মিলিত আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব এবং গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করবে।