রূপকথাকেও হার মানিয়েছেন এক সময়ের স্টেশন থেকে স্টেশনে ঘুরে বেড়ানো রাণু মন্ডল। ভবঘুরে রাণু মন্ডল পথে-ঘাটে গান গেয়ে বেড়াতেন। সেখান থেকে সোজা পাড়ি দিয়েছেন স্বপ্ননগরী মুম্বাইয়ে। ‘হ্যাপি হার্ডি এন্ড হীর’ ছবিতে শোনা যাবে তার একাধিক গান।
হিন্দি ছবিতে গানের রেকর্ডিংয়ের জন্য ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার মুম্বাই পাড়ি দিতে হয়েছে রাণুকে। এই কলকাতা-মুম্বাই সফর করতে করতে বেশ বিরক্ত হয়ে গিয়েছেন গায়িকা। কাজেই মুম্বাইতেই স্থায়ীভাবে থাকার বাসস্থান খুঁজছেন তিনি।
রাণু মণ্ডল জানান, বারবার ফ্লাইটে করে মুম্বাই যাওয়া তার কাছে বিরক্তিকর। কাজেই মুম্বাইতেই নিজের বাড়ি বা ফ্ল্যাট বানাতে চান।
‘ফুলো কা তারো কা’, ‘পানা কি তামান্না’ বা ‘জিন্দেগি অওর কুছ ভি নেহি’ দিন-রাত গান গাইতেন রানাঘাটের ভবঘুরে রাণু। সম্প্রতি কয়েকজন এই গানের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেন। তারপরেই মুহূর্তে ভাইরাল রানাঘাটের ‘লতা’। বদলে গেল ভবঘুরে রাণুর জীবন।
এককথায়, রাণু পেলেন লটারি। রানাঘাটের স্টেশনের ভাইরাল রাণু এখন খবরের শিরোনামের কেন্দ্রবিন্দুতে। স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে লতার গান গেয়ে রাতারাতি স্টার হয়ে যান তিনি। এরপর থেকে রাণু কী করছেন, কী পরছেন, কী গাইছেন- তার প্রতিটি গতিবিধিই খবরের শীর্ষে।
কোথাও গান শেখেননি রাণু। সব গান শুনে শুনে মুখস্থ, তাও হুবহু লতার গলা। মেয়েরা বিয়ের পর মাকে একা রেখে চলে গিয়েছিল। সেই রাণু মন্ডলের গাওয়া ‘এক পেয়ার কা নাগমা’ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর খুলে গেল ভাগ্য। রাতারাতি তারকা বনে গেলেন রানাঘাটের স্টেশনের রাণু। এরপরই মেয়েরা ফিরে আসে তার কাছে।
আমূল বদলে যায় রাণুর জীবন। তাকে নিয়ে যাওয়া হল বিউটি পার্লারে। চুল স্ট্রেট করা হল। কালো রঙ করা হল, পরানো হল দামি শাড়ি। এখানেই শেষ নয়, ‘সারেগামা’ কোম্পানি তাদের ক্যারাভা উপহার দিল রাণুকে।
তারকা রাণুর জীবনে অনেক পরিবর্তন আসে। একের পর এক গানেরও অফার পেতে শুরু করেন। কলকাতার এক পুজোর থিম সং গেয়েছেন ইতিমধ্যেই। ‘হ্যাপি হার্ডি এন্ড হীর’ ছবিতে শোনা যাবে রাণুর গান।