লাদাখে টহল দেয়ার সময় ভারতীয় সেনাবাহিনীকে আটকে দিয়েছে চীনা বাহিনী। এ নিয়ে প্রতিবেশী দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। পরে দুই দেশের প্রতিনিধির মধ্যে আলোচনা হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
বুধবার লাদাখের প্যাংগং লেকের উত্তর দিকে টহল দেয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে কলকাতার প্রভাবশালী গণমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, লাদাখের প্যাংগং লেকের উত্তর দিকে বুধবার সকালে টহল দিচ্ছিল ভারতীয় সেনা। ওই সময় তাদের রাস্তা আটকে দাঁড়ায় চীনা সেনাবাহিনী। দু'পক্ষের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ বাক্যবিনিময় হয়। দিনের প্রায় সবটুকু সময় এভাবেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকে। পরে সন্ধ্যার দিকে দুই দেশের প্রতিনিধিরা আলোচনায় বসলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
গণমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিব্বত থেকে লাদাখ পর্যন্ত বিস্তৃত লেকটির দুই-তৃতীয়াংশ চীনের নিয়ন্ত্রণে। এ অঞ্চলে আগেও একাধিকবার ভারত-চীন সেনাবাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা হয়েছিল। গত বছর নরেন্দ্র মোদি-শি চিনপিং ওয়াহান বৈঠকের আগে অন্তত ২৮বার চীনা সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়েছে।
এর আগে ২০১৭ সালে এ অঞ্চলেই ভারত ও চীন সেনাবাহিনীর মুখোমুখি হওয়ার একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। এতে দেখা গেছে, দুই দেশেরই সেনা সদস্যরা একে অপরের দিকে পাথর ছুড়ছে। পরবর্তী সময়ে তারা মারামারিতে লিপ্ত হয়েছিল।
জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল করার পর থেকে ভারত ও চীনের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরকে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল ঘোষণা করার পর দিনই এর বিরোধিতা করে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কড়া বার্তা দিয়েছিল। তারপর থেকে এর বিরোধিতা করার জন্য পাকিস্তানকে সমর্থনও দিয়ে আসছিল।
বুধবারের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি সূত্রের বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই দেশের প্রতিনিধির মধ্যে আলোচনার পর উত্তেজনা পুরোপুরি বন্ধ হয়েছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) নিয়ে বিভ্রান্ত হওয়ার কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর থেকে চীন লাদাখকে তাদের এলকা দাবি করে আসছে। এ নিয়ে দেশ দুটির মধ্যে তখন থেকেই উত্তেজনা চলে আসছে।