উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলীয় পদধারী ১৭৭ জন বিদ্রোহী প্রার্থীকে শোকজ নোটিশ পাঠিয়েছে আওয়ামী লীগ। চিঠিতে কেন তাদেরকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে। সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারলে অভিযুক্ত নেতারা দলীয় পদসহ স্থায়ীভাবে বহিষ্কার হতে পারে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও তাদের মদদদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অংশ হিসেবে প্রথম ধাপে শুধু দলীয় পদধারী আওয়ামী লীগ নেতাদের শোকজ করা হয়েছে। এই তালিকায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য পর্যন্ত পদে থাকা নেতারা রয়েছেন, যারা ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে নির্বাচন করেছেন। অভিযুক্তদের ১৫ দিনের সময় দিয়ে তাদের স্থায়ী ঠিকানা বরাবর রেজিস্ট্রি ডাকযোগে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় ধাপে মদদদাতাদেরও চিঠি দেওয়া হবে।
এর আগে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগেরই প্রায় দু’শ নেতা নৌকার বিপক্ষে নির্বাচন করেন। এর সঙ্গে নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করার অভিযোগ ওঠে প্রায় অর্ধশত দলীয় সংসদ সদস্য, মন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে। তাদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদদে অনেকটা একতরফা এই নির্বাচনেও নৌকার প্রার্থীরা হেরেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
গত ১২ জুলাই অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে ‘বিদ্রোহী’ ও তাদের মদদদাতাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সোমবার থেকে উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের ঠিকানা বরাবর শোকজ চিঠি পাঠানো শুরু করে আওয়ামী লীগ। প্রথম দিনে পাঁচ বিভাগে শতাধিক নেতার স্থায়ী ঠিকানা বরাবর রেজিস্ট্রি ডাকযোগে চিঠি পাঠানো হয়েছে। পরদিন মঙ্গলবার সরকারি বন্ধ থাকায় চিঠি পাঠানো হয়নি। তার পরদিন বুধবার বাকি তিন বিভাগের নেতাদের বরাবর চিঠি পাঠায় আওয়ামী লীগ। তবে শোকজ তালিকায় আপাতত নৌকাবিরোধী ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের মদদদাতা মন্ত্রী, এমপি ও প্রভাবশালী নেতাদের নাম নেই। পরে তাদের নামেও শোকজ চিঠি পাঠানো হবে বলে আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে।