পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকে আসামের নাগরিকপঞ্জিসহ (এনআরসি) দ্বিপাক্ষিক সব বিষয়ে আলোচনা হবে।
বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রীর জাতিসংঘ সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
মোমেন বলেন, মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নিউইয়র্কে সাক্ষাৎ হবে। তবে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হওয়া বৈঠকে বিশদ আলাপ হবে। বৈঠকে দু’দেশের মধ্যকার যে ধরনের সমস্যা আছে সব তুলে ধরা হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে পৌঁছাবেন। সেখানে রোহিঙ্গা ইস্যুতে নিউইয়র্কে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীনের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হবে। চীনের মধ্যস্থতায় এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে।
ড. মোমেন বলেন, আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ অধিবেশনে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি রোহিঙ্গা সংকট তুলে ধরবেন। জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগদানকালে সাইডলাইনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান মিয়ানমারকে নিয়েই করতে হবে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে গত ২ বছরে বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশ অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। বিশ্ববাসী এখন বাংলাদেশকে সমর্থন করছে।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের বন্ধুদেশগুলোও আমাদের সমর্থন করছে। চীন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে যথেষ্ট উদ্যোগ নিয়েছে। এ কারণে আমরা আশাবাদী।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে ফোন করেছিলেন। আমরা মূলত তার কথা শুনেছি ও আমাদের অবস্থানটা তাদের জানিয়েছি।
তিনি বলেন, ভারতের সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল প্রসঙ্গে আমরা বলেছি, এটা ভারতের সংসদের তৈরি আর্টিকেল। তাদের আভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে বাংলাদেশ শান্তি চায়, মানুষের উন্নয়ন চায়।
মন্ত্রী জানান, বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী মানবপাচারকারী ও দালালদের চিহ্নিত করে ফেরত আনা হবে। এ বিষয়ে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশুনগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।