নিউইয়র্কে কর্মব্যস্ততা শেষে দেশের খবর নিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তিনি জানিয়ে দিলেন যে, কারও পারমিশন লাগবে না, অপারেশন চলবে। যার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যাবে, তাকে গ্রেপ্তারের ‘ব্ল্যাঙ্ক চেক’ দিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। আজ নিউইয়র্ক সময় রাত ১০টায় (বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টায়) তিনি ঢাকায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেন।
উল্লেখ্য যে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে গত ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে গেছেন প্রধানমন্ত্রী। গতকাল সোমবার প্রথম কর্মদিবসে ব্যস্ত সময় পার করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তাকে ‘ভ্যাক্সিন হিরো’ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিষয়ক একটা সেমিনারেও কো চেয়ার ছিলেন তিনি। এসব ব্যস্ততা শেষে হোটেলে ফিরে প্রধানমন্ত্রী দেশের খোঁজ-খবর নিয়েছেন বলে জানাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো।
আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার অন্তত দুজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কথা হয়েছে। এছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের আইজিপি’র সঙ্গে তিনি টেলিফোনে কথা বলেছেন। আর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গেও কথা হয়েছে তার।
এই ফোনালাপগুলোতে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, বিনা অভিযোগে কাউকে হয়রানি করা যাবে না। কিন্তু যার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকবে তিনি যেই হোন না কেন, তাকে গ্রেপ্তার করতে কারও পারমিশন লাগবে না। এ ব্যাপারে কেউ যদি তদবির করে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
স্পর্শকাতর কিছু অভিযানের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ছিল আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা। এখন প্রধানমন্ত্রীর সবুজ সংকেত পাওয়ার পর দুর্নীতিবাজ, টেন্ডারবাজসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান আরও জোরদার হবে বলে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। সূত্র: বাংলা ইনসাইডার