সম্প্রতি র্যা বের ক্যাসিনো অভিযানে একে একে উঠে আসছে যুবলীগের বড় বড় সব নেতার নাম। তাদেরই একজন জি কে শামীম। নিজেকে যুবলীগের নেতা পরিচয় দেয়া শামীমকে গত ২০ সেপ্টেম্বর বিকেলে রাজধানীর গুলশানের নিকেতনের অফিসে অভিযান চালিয়ে আটক করে র্যা ব। পাঁচ দিনের পুলিশি রিমান্ডে নিলে বেরিয়ে আসে বিস্ফোরক সকল তথ্য।
আটক হয়েছে আরও যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতা, যারা ক্যাসিনো ব্যবসা পরিচালনা করতেন। রিমান্ডে পুলিশের কাছে মুখ খুলছেন আটক ক্যাসিনো সাম্রাজ্যের প্রভাবশালীরা। বেরিয়ে আসছে অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ক্লাবের নাম। তালিকায় আসতে পারেন শোবিজের বেশ ক’জন নারী তারকাও। শোনা যাচ্ছে, বেশকিছু ক্যাসিনোতে যাতায়াত ছিলে অনেক উঠতি মডেল ও অভিনেত্রীর।
গণমাধ্যম বলছে, কখনও কখনও ব্যক্তিগতভবেই ঢালিউডের এক নায়িকা শামীমের বিদেশ যাত্রার সঙ্গী হতেন। এই নায়িকা অভিষেকেই শ্রেষ্ঠ নবীন শিল্পী হিসেবে পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন লাভ করেন। শামীমের সঙ্গে পরিচয়ের পর দ্রুত ভাগ্য পরিবর্তন হতে থাকে এই মেয়ের। এই নায়িকা গুলশানে একটি ফ্যাশন হাউজ ও ধানমন্ডিতে একটি রেস্টুরেন্টের মালিক হয়েছেন। পাশাপাশি হয়েছেন প্রযোজক। এর আগেও তার প্রযোজনার টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।
ডেন্টাল কলেজের প্রাক্তন এই ছাত্রী অভিনয় ছাড়াও ভারত-বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনায় আত্মপ্রকাশ করেন প্রযোজক হিসেবে। অভিনয় করেছেন ভোজপুরি চলচ্চিত্রেও। পাঁচটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এই নায়িকা।
বেশকিছু গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে, টেন্ডার বাগিয়ে আনতে উঠতি মডেল ও নায়িকাদের ব্যবহার করতেন গ্রেপ্তার হওয়া ঠিকাদার জি কে শামীম। আরও অনেক নেতা ও প্রভাবশালীই তাদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতেন বড় কাজ পাওয়ার আশায়। অনেক মডেল ও নায়িকারা আবার এসব নেতা-ব্যক্তিদের বান্ধবী হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। সেই সম্পর্কের প্রভাব খাটিয়েছেন তারা শোবিজে।