নিউইর্য়ক সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী, মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা ও দাতব্য সংস্থা বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ার বিল গেটস।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের হোটেল লোটে নিউইর্য়ক প্যালেসে এ সাক্ষাৎ হয়।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, ন্যাশনাল অ্যাডভাইজারি কাউন্সিল অব নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজম অব বাংলাদেশের চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মোট ৫১ বিলিয়ন ডলারের বেশি তহবিল নিয়ে কাজ করে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দাতব্য সংস্থাগুলোর একটি বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশে তারা দারিদ্র বিমোচন এবং স্বাস্থ্য ও শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করে। যুক্তরাষ্ট্রেও যাতে কেউ শিক্ষা ও মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয় সে লক্ষ্যে কাজ করে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিল গেটসের সাক্ষাত প্রসঙ্গে বৃহস্প্রতিবার নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় রাত ৮ টায় জাতিসংঘ শিশু তহবিল- ইউনিসেফ কার্যালায়ের হেনরি ল্যাবউসি কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বিল গেটস এসেছিলেন। তিনি বাংলাদেশের অত্যন্ত সুন্দর প্রশংসা করলেন।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ স্বাস্থ্যখাতে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। বিশেষ করে ভেকসিনে। এ সব বিষয়ে বিলগেটস সহযোগিতা করতে চেয়েছেন।
তারা নতুন ভেকসিন তৈরি করেছে বাংলাদেশ। যেটা টাইফয়েড, কলেরা রোগ নিরাময়ে কাজ করে। বিল গেটসকে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, আমাদের দেশে মোটামুটি ভাবে আমরা কলেরা নিধন করেছি। এটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।
এছাড়াও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রসিকিউটর ফাতৌ বেনসৌদা, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপো গ্রান্ডি এবং ইউনেস্কোর সাবেক মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভা ও এক্সন মবিল এলএনজি ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান অ্যালেক্স ভি ভলকোভও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।