সম্পর্ক একটি উপলব্ধি। মানুষ তার নিজের গণ্ডী থেকে তা রচনা করে থাকে। সম্পর্ক সম্পূর্ণ অচেনা কিছু মানুষকে জীবনের অংশ করে তোলে। কখন যে মানুষগুলো নিজের অস্তিত্বের অংশ হয়ে যায় মানুষ তা বুঝতেও পারে না। সম্পর্কের কোন নির্দিষ্ট সংজ্ঞা নেই। এটি কখন কার সাথে কিভাবে গড়ে উঠবে মানুষ তা নিজেও বলতে পারে না। আবার কিভাবে নষ্ট হবে তাও বলা যায় না। তবে এমন কিছু সম্পর্ক আছে যে সম্পর্কে দুজনেই অখুশী কিন্তু বুঝে ওঠা সম্ভব হয় না কি করা উচিত। সম্পর্ক যদি অসুস্থ হয়ে উঠে সেখান থেকে সরে দাঁড়ানো ভালো।
সঙ্গী বাড়িতে থাকলে স্বচ্ছন্দবোধ করেন না: স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের সান্নিধ্যে স্বচ্ছন্দবোধ করবেন, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তেমন যদি না হয়, তা হলে ধরে নিতে পারেন সম্পর্কে ভাঙন ধরতে শুরু করে দিয়েছে। পরস্পরের সঙ্গে ভালো করে কথা না বলা, সংসারের কাজ ভাগ করে না নেওয়া, যৌনজীবন একেবারেই না থাকা, এসব আসলে তারই লক্ষণ। অনেক সময় অবশ্য কাজের চাপেও স্বামী-স্ত্রী পরস্পরকে সময় দিতে পারেন না, কিন্তু একটানা এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে তা নিশ্চিতভাবেই গুরুতর সমস্যারই ইঙ্গিত।
সঙ্গীর সঙ্গ বিরক্ত লাগে: সঙ্গীর কাছাকাছি থাকলে কি আপনি খুশি হয়ে উঠতে পারেন না? বরং ক্লান্তি আর বিরক্তিবোধই বেশি হয়, সারাক্ষণ সতর্ক থাকতে হয়। সেক্ষেত্রে ধরে নিতে পারেন, একটা নেতিবাচক সম্পর্কে রয়েছেন আপনি।
সঙ্গী সারাক্ষণ আপনার সমালোচনা করেন: যেকোনো কাজে প্রশংসা করা দূরে থাক, আপনার সব কাজই তিনি খাটো করে দেখান, স্বার্থপরের মতো আচরণ করেন। সেক্ষেত্রে সাবধান হওয়ার সময় হয়েছে।
তিনি মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন না: ঝগড়াঝাঁটি সব সম্পর্কেই হয়। আবার দু’জন মিলে চেষ্টা থাকে তা মানিয়ে নেয়ার। কিন্তু সম্পর্ক যদি স্বাভাবিক পথে না চলে, তাহলে একপক্ষ মিটমাটের চেষ্টা করলেও অপর পক্ষ গোঁ ধরে থাকেন। ফলে সম্পর্কে স্থায়ী একটা সমস্যা থেকেই যায়।
হিংসা, গালিগালাজ: সারাক্ষণ অপমানকর কথাবার্তা, গায়ে হাত তোলার মতো ঘটনা ঘটার অর্থ সম্পর্কটা বিষিয়ে গেছে। অপেক্ষা না করে আত্মীয় ও বন্ধুদের সাহায্য নিন।